সুরমার ঢেউ সংবাদ :: স্বাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ আবারো পেছালো। ১৫ জানুয়ারি রোববার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিকের আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিলো। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত। এর আগে একই কারণে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পেছানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবেদীন। মামলার সরকারি কৌঁসুলি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী বলেন, শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া হত্যা মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। উপস্থিত না হওয়া কয়েকজন সাক্ষীর নামে পরোয়ানা ও সমন জারি করেন আদালত। তবে, আসামিদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত জামিনে থাকা ৫ জন আদালতে উপস্থিত হতে না পেরে সময় চেয়ে আবেদন করেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হবার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ.এম.এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং আরো ৭০ জন আহত হন। ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলার পুন:তদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।