ছালেহ আহমদ সেলিম, বিশেষ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’। এতে থাকবে ৫৪টি আসন। থাকবে ক্যাফেটেরিয়া। মৌলভীবাজার জজ আদালত প্রাঙ্গণে ৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এসময় বিচারপতির সহধর্মিনী বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (বেপজা) সদস্য নাফিসা বানু, মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফয়জুল কবীর, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলভীবাজার জেলা বারের সভাপতি রমাকান্ত দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক বদরুল হোসেন ইকবাল, পিপি আব্দুল খালিক, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিচারকগণ, আইনজীবী, জেলা আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফয়জুল কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন- সারাদেশে প্রতিটি জেলায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্রামাগার। এরই অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারেও নির্মাণ হচ্ছে ‘ন্যায়কুঞ্জ’।
বিচারপতি বলেন- বিচারপ্রার্থীরা যেন আদালতে এসে কষ্ট না পান। বসার জায়গা পান। এজন্য এ বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এক জেনারেশন থেকে অন্য জেনারেশনেও মামলা চলমান। এগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মামলা জট কমাতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কাজ করা হচ্ছে।
মৌলভীবাজারে বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।