সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের চাঁদা আদায়ে বাঁধা দেয়ার জেরে ১ জন খুন ও ৭ জন জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নস্থিত ইমামবাজারে। খুন হওয়া অটোরিক্সা চালক মোঃ ফজলু মিয়া (৩০) মৌলভীবাজার জেলা অটোটেম্পু, অটোরিক্সা, মিশুক, সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৩৫৯ এর অন্তর্ভূক্ত ইমামবাজার ইউনিট কমিটির নেতা ও গিয়াসনগর ইউনিয়নস্থিত আনিকেলী বড়ো গ্রামের কনর মিয়ার পুত্র।
নিহত ফজলু মিয়ার ভাই খছরু মিয়া ছাড়াও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জুলাই সোমবার অবৈধ মৌলভীবাজার সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ০০৪ এর সদস্য কমরু মিয়া ও তার সহযোগীরা তাদের জেলা সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে ইমামবাজার অটোরিক্সা স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে উপস্থিত অন্যান্য অটোরিক্সা চালকদের সহযোগীতায় ফজলু মিয়ার বাঁধার মুখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ ঘটনার জের ধরে পরদিন ২৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কমরু মিয়া ও তার সহযোগীরা ইমামবাজার অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে এসে ফজলু মিয়ার উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। খবর পেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফজলু মিয়ার সহযোগীরা ছুটে এসে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এরই মধ্যে কমরু মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগীর ধারালো অস্ত্রাঘাত ও ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই ফজলু মিয়া খুন হন। অপরদিকে, গুরুতর জখম হন উভয়পক্ষের ৭ জন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফজলু মিয়াসহ ৮ জনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজলু মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ফজলু মিয়া নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার ছালিক মিয়া ও তার সহযোগী ইলিয়াছ মিয়াকে আটক এবং থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ বেড়িয়ে আসবে। জখমী ফারুক মিয়া জানান, কমরু মিয়া গংরা গতকাল (২৭ জুলাই) ইমামবাজার অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের অধিনস্ত ইমামবাজার-ভৈরবগঞ্জ বাজার রুটের অটোরিক্সা চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে ফজলু মিয়া প্রতিহত করেন। এরই জের হিসাবে আজ (২৮ জুলাই) কমরু মিয়া গংরা ফজলু মিয়ার উপর উপর সশস্ত্র হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তিনি আরো জানান- ফজলু মিয়াকে ধারালো অস্ত্রাঘাত ও ছুরিকাঘাত করে কমরু মিয়া, ইলিয়াস মিয়া, নজরুল মিয়া, আব্দুল মিয়া, সেজল মিয়া, সাহা মিয়া, কাজল মিয়া ও মাহমুদ মিয়া এবং বর্তমান ইউপি মেম্বার ছালিক মিয়া ও তার সহযোগী ইলিয়াছ মিয়া প্রত্যক্ষভাবে খুনি কমরু মিয়া গংদেরকে মদদ দেন।