হুমায়ুন রহমান বাপ্পী, নিজস্ব সংবাদদাতা :: মৌলভীবাজারে বড়ভাই সোহেলুর রহমান ওরফে শোয়েব চৌধুরী কর্তৃক বসতবাড়ি দখল, নামীয় দোকান কোঠা ও ফিলিং ষ্টেশনের ভাড়া আদায় করতে না পারা, মিথ্যামামলা প্রত্যাহার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে ছোটভাই সায়েক চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫ নভেম্বর রোববার সকালে। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেরনে লিখিত বক্তব্যে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নস্থিত কনকপুর গ্রামের (বড়বাড়ি) এর নাগরিক ও বর্তমান মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ৪৩নং শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ ইলিয়াছ মিয়া ওরফে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির ছোটপুত্র সায়েক চৌধুরী জানান- আমি প্রবাসী বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। আমরা ২ ভাই ২ বোন ও মা সবাই লন্ডনে প্রবাসী। সোহেলুর রহমান উরফে শোয়েব চৌধুরী আমার বড়ভাই।
তিনি বিভিন্ন সময় ৫টি নাম (শোয়েব চৌধুরী, সোয়েলুর রহমান, যোয়েলুর রহমান, মোঃ ছমেদ ছৌধুরী ও সুহেল আহমদ) ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন। গত ২৭-০৮-২০১২ইং আমার পিতা লন্ডনে বসবাসরত অবস্থায় মারা যাওয়ার পর থেকে পিতার রেখে যাওয়া বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি বড়ভাই দেখা শোনা করতেন। ৩০-০৪-২০১৮ইং আমি ও আমার মাতা দেশে এসে শান্তিবাগস্থ বাসার ৩ তলা ফ্লাটে এবং কনকপুরের বাড়িতে অবস্থান করি। পরবর্তীতে আমরা শান্তিবাগস্থ বাসার (৫ তলা ১৪টি ফ্লাট সংবলিত) ভাড়া আদায় করতে গেলে বাসার কেয়ারটেকার ভাড়ার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আমাদেরকে শোয়েব চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। বড়ভাই শোয়েব চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুরো বাসাটাই উনার। আমার আম্মা পূনরায় বাসা ভাড়া আদায় করতে গেলে আমার ভাইয়ের পালিত সন্ত্রাসীরা ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখায় এবং ভাড়া আদায়ে বাধা দেয়। পরবর্তীতে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শোয়েব চৌধুরী ২২-০৬-২০০৬ ইং গোপনে ২৭৫৩নং জাল ও ভুয়া একটি দলিল উনার নামে তৈরি করেন। তখন আমার পিতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা লন্ডনে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে আমার মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ০৪-০৬-২০১৮ইং মাননীয় যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে একটি মোকদ্দমা (নং ৫৬/১৮ইং স্বত্ত্ব) দায়ের করেন। ২৫-০৩-২০ইং মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ এবং ১৩-০৮-২০ইং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে একটি দরখাস্ত দায়ের করা হয়। আমি প্রবাসে থাকার সুবাধে আমার বড়ভাই শোয়েব চৌধুরী কনকপুর বড়বাড়িস্থ আমাদের বসতবাড়ি ও কৃষি জমি জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছেন। তাছাড়াও কনকপুরস্থ মাসুক ফিলিং ষ্টেশনের আমাদের অংশের ভাড়া, সেন্ট্রাল রোডস্থ জরিনা ম্যানশন এর মাহিব ট্রেডার্স এবং কুসুমবাগস্থ হারুন ফার্মেসীর পাশের আমাদের দোকান ফ্রেশ মিট এর ভাড়া জোরপূর্বক তোলে নিচ্ছেন।
০৭-১১-২০২০ইং আমি বাংলাদেশে আসার পর থেকেই আমার বড়ভাই শোয়েব চৌধুরী নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। দেশে আসার ১ মাস আগে লন্ডনে থাকাবস্থায় ফোনে আমাকে বলেন “তুই বাংলাদেশে আসবিনা। অন্যথায় তোকে জানে মেরে ফেলবো”। উনার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। যার প্রেক্ষিতে আমি গত ১২-১১-২০২০ইং মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি (এস এল নং ১৮৯৫)। তাছাড়া গত ১০-১১-২০২০ইং উপরোক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করে এবং সহযোগীতা চেয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবরে একটি আবেদন করেছি। আমি যাতে দেশে না আসতে পারি এবং আমার সম্পত্তি দেখাশোনা করতে না পারি সে জন্য বড়ভাই আমার নামে ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। নন জিআর ৪০/১৮ (সদর) মামলাটি ইতিমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অপর মামলা নন জিআর ১৪৭/১৯ (সদর) বিজ্ঞ আদালতে চলমান।
সকল কাগজপত্র থাকার পরেও আমি, আমার বোন ও মা নায্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমার নামীয় বাড়ি ও শহরে আমাদের বাসা থাকার পরেও আমাকে হোটেলে অবস্থান করতে হচ্ছে। আমার ভাইয়ের পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার নামীয় দোকান কোঠা ও ফিলিং ষ্টেশনের ভাড়া আদায় করতে পারছিনা। দেশে এসে অনেকটা মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। এমতাবস্থায়, আমি মিথ্যামামলা প্রত্যাহার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে উপরোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে আপনাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কামনা করছি। সংবাদ সম্ম্রেরনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এড. জাহেদুল হক কচি।