সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সংবাদ সম্মেলনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে ওএমএসএস এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের আরজু মিয়া ও শাহজাহান।
জানা যায, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের হতদরিদ্র মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। এতে প্রতিবার ১০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করার জন্য সিন্দুরখান ইউনিয়নের ৬১৫ জন হতদরিদ্র মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে অতিদরিদ্রদের নামে চাল বিতরণের কার্ড করা হয়। সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডোবাগাঁও (তেলিআব্দা) গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহজাহানের জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৮১৮৩৭৬১৩৩৫৮৪ এবং মো. আরজু মিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৮১৮৩৭৬১৩৩৫৪৮ এর বিপরীতে ওয়ার্ড মেম্বার মো. মোছাব্বির মিয়ার নির্দেশনায় তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে ভুয়া টিপসই দিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ তাদের চাল আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মো. আরজু মিয়া ও মো. শাহজাহান শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে দীর্ঘ ৩ মাসেও কোন সুরাহা পাননি। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারীরা বলেন, তাদের কার্ডগুলো উপজেলা অফিস হতে বাতিল করা হয়েছে মর্মে ইউপি মেম্বার মো. মোছাব্বির মিয়া তাদেরকে জানান। অথচ চলতি বছরের মার্চ মাসে সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তকবীর হোসেন স্বাক্ষরিত ওএমএসএস এর চুড়ান্ত চাল বিতরণপত্রে ৫৮নং ক্রমিকে মো. শাহজাহান এবং ৬৬নং ক্রমিকে মো. আরজু মিয়ার নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে টিপসই দেখিয়ে নিয়মিত চাল উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযোগকারীরা আরো বলেন- “আমরা নাম দস্তখত করতে জানি, টিপসই কেন দেবো ? সরকারের ঘরে ভুয়া টিপসই দিয়ে আমাদের চাল আত্মসাৎ করে আমাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সৈয়দ আব্দুস সালাম মধু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. বখতিয়ার উদ্দিন, মো. ছানু মিয়া, আলম মিয়া প্রমুখ।
অপরদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি মেম্বার মো. মোছাব্বির মিয়া বলেন- নির্বাচনকে সামনে রেখে মিথ্যা ইস্যু তৈরী করে একটি মহল আমার নামে এলাকায় অপপ্রচার করছে সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেননা। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার করে বলেন- বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।