সুরমার ঢেউ সংবাদ :: ওজন কমাতে সাহায্য করে সহজলভ্য সবজি কচুশাক। সহজলভ্য সবজি কচুশাক এর স্বাদ একবার পেলে বারবার খেতে চাইবেন অনেকেই। কিন্তু, গলা চুলকানোর ভয়ে অনেকে এই শাক খেতে চাননা। তবে ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুঁটকি মাছ দিয়ে কচুশাকের তরকারির স্বাদ আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন কি ?
কচুশাককে অনেকেই গুরুত্ব দিতে চান না। তবে আপনি জানেন কি কচুশাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। কিন্তু এই কচুশাকই দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে।
কচুশাক চোখ ভালো রাখে : বর্তমানে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ঘরে ঘরে। এখন অনেক কম বয়সেই চশমা পরতে হচ্ছে অনেককে। ভুল খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার অন্যতম কারণ। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী কচুশাক। কচুপাতায় থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, ভিটামিন এ আমাদের চোখ এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। নিয়মিত কচুশাক খেলে তা চোখ ভালো রাখতে কাজ করে।
কচুশাক গাঁটের ব্যথা দূর করে : গাঁটের ব্যথার কষ্ট ভুক্তভোগীরাই জানেন। এই ব্যথার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনও যেন স্থবির হয়ে যায়। তখন ব্যথা দূর করার জন্য বিভিন্ন ওষুধের সাহায্য নিতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে গাঁটের ব্যথা দূর করার জন্য নিয়মিত কচুশাক খাবেন। কারণ এই শাক আপনার গাঁটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।
কচুশাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আপনার আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। আপনি যদি নিয়মিত কচুশাক খান তবে তা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। এই শাকে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান মানসিক চাপ কমাতেও সমান কার্যকরী।
ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন যারা, তাদের জন্য একটি উপযোগী খাবার হতে পারে কচুশাক। এতে থাকা ফাইবার মেটাবলিজমের প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এটি পেটের সমস্যার ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী। এক্ষেত্রে কচুর ডাটাসহ পাতাগুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে তাতে অল্প ঘি মিশিয়ে খেতে হবে দিনে দুইবার। এভাবে তিনদিন পান করণে উপকার পাবেন।