ইশরাত জাহান চৌধুরীঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গত ৫সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মোট তিনজনের।
সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত গতকাল রাতে প্রাণ যাওয়া ব্যক্তির নাম কামাল আহমদ। তিনি দুর্ঘটনার দিন নিহত ফরিদ উদ্দিনের ভাই। সিলেট নগরের আম্বরখানার লোহারপাড়া এলাকায় তাদের বাসা। নিহত কামালের বয়স ছিল ৩৫ বছর। দুর্ঘটনার দিন আহত ছয়জনের একজন কামাল সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে বুধবার রাতে মারা যান তিনি।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ সাপ্তাহিক সুরমার ঢেউকে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তারা তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেলেও ঐ দিন রাতে হতাহত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন দুজন মারা গেছেন । এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন।
হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুটি মাইক্রোবাসে করে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন। ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামে ঢোকার সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসগুলোর মধ্যে একটি রেলক্রসিং পার হলেও অন্যটি পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী ট্রেন ধাক্কা দেয়।
দ্রুতগতির ট্রেনটি প্রায় আধা কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে এলাকাবাসীরা বের করে ফরিদ ও তার আট বছরের ছেলের মরদেহ।
প্রতিবেশী রিজভী আহমেদ কামাল আহমদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি’।
ট্রেন দুর্ঘটনায় কামাল ও ফরিদের আরেক ভাই আহত লাবিব আহমদ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন একই পরিবারের আরও চার সদস্য।