সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ৪নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকা উপকারভোগীদের তালিকায় অনেক অনিয়ম-দূর্ণীতি করা হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা মিলেমিশেই প্রত্যক্ষভাবে এসব অনিয়ম-দূর্ণীতি সংঘটন করেছেন। দীর্ঘ প্রায় ২ মাসের ধারাবাহিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমান থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৪নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নের উপকারভোগীদের তালিকায় ৫৫০ জন উপকারভোগীর নাম রয়েছে। এ ৫৫০ জন উপকারভোগীর মধ্যে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, একই পরিবারের ভাই-বোন, একই পরিবারের পিতা-পুত্র, একই পরিবারের একাধিক ভাই, স্বচ্ছল পরিবারের লোক এমনকি চেয়ারম্যান-মেম্বারের আপনজনদের নামও রয়েছে।
কথা হলো, চেয়ারম্যান-মেম্বারের আপনজন যদি এ উপকারভোগীর যোগ্য হয় তাহলে তাকে সুবিধা দেয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু, চেয়ারম্যান-মেম্বারের আপনজন একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে সুবিধা দেয়া অবশ্যই অনিয়ম। আর, এসব অনিয়ম-দূর্ণীতি করা হয়েছে তালিকায় ক্রমিক নম্বর এবং ওয়ার্ডের নাম এলামেলোভাবে অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে। ফলে, তালিকা পর্যবেক্ষণ করে এসব অনিয়ম-দূর্ণীতি খুঁজে পাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য। অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করা অনেক শ্রম, সময় ও ব্যয়বহুল। প্রতিদিন অফিস সময় পর্যন্ত কাজ করলেও, একেকটি ওয়ার্ডের উপকারভোগীদেরকে যাচাই বাছাই করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় প্রয়োজন হয়। এসব কারণে, প্রধানমন্ত্রীর উপহারভোগীদের তালিকায় অনিয়ম-দূর্ণীতি চিহ্নিত করার অনুসন্ধানে প্রায় কারোরই আগ্রহ নেই। ফলে, অনিয়ম-দূর্ণীতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টরা। ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ২৫০০ টাকা উপকারভোগীদের তালিকায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নাম থাকার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে এ ওয়ার্ডের এ সংক্রান্ত আরও কিছু অনিয়ম-দূর্ণীতির তথ্য। ওইসব তথ্য নিশ্চিত হতে গিয়ে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, এ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডেই এরকম অনেক অনিয়ম-দূর্ণীতি করা হয়েছে।
(সংবাদটির বাকী অংশ আগামীকাল)