সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক দশকে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা কমেছে। এর বিপরীতে প্রায় কাছাকাছি হারে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। গত এক দশকে যেখানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে।
জনগণনার প্রতিবেদন বলছে- বাংলাদেশে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা ৯১ দশমিক ৪ শতাংশ আর হিন্দু জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। হিন্দু জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কমেছে অন্য ধর্মাবলম্বীর জনসংখ্যাও। দেশে বর্তমানে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যা ০.৬১ শতাংশ। ২০১১ সালে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ০.৬২ শতাংশ। কমেছে খ্রিষ্টান ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে খ্রিষ্টান আছেন মাত্র ০.৩০ শতাংশ- যা ২০১১ সালে ছিলো ১ শতাংশ বেশি ০.৩১ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে- দেশে মোট ৩য় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ- যা এক দশক আগে ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন- যা এক দশক আগে যা ছিল ৯৭৬ জন।
এছাড়া, ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। ১০ থেকে তার বেশি বয়সি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং ৬৫ শতাংশ বিবাহিত।
২০০১ সালে দেশে জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন। ১৯৮১ সালে ছিল ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন।