সুরমার ঢেউ সংবাদ :: শ্রীমঙ্গলে জাতীয় পযায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (CIPRB) এর আয়োজনে ‘সিলেট বিভাগে নারী চা-শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি’ (Enhancing Social Protection for Female Tea Garden Workers and Their Families in Sylhet Division) বিষয়ক বিভাগীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০ জানুয়ারী রোববার।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) এর সহযোগীতায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (CIPRB) এর মাধ্যমে UN Joint SDG Programme এর আওতায় Enhancing Social Protection for Female Tea Garden Workers and Their Families in Sylhet Division শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের ২৫টি (মৌলভীবাজারের ১৮টি সিলেটের ৪টি ও হবিগঞ্জের ৩টি) চা বাগানে চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে পরিচালিত নানারকম কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চা বাগান সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে এ বিভাগীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিআইপিআরবি এর সিলেট বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর আলতাফুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবেদা বেগমের সভাপতিত্বে শ্রীমঙ্গলস্থ গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ বিভাগীয় সভায় মৌলভীবাজার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এসএম শাহরিয়ার, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নুরুল হক, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রামভজন কৈরী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রীমঙ্গলের উপ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নাহিদুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আবু সালেহ জাকির, প্রকল্প এলাকার ২০টি চা বাগানের ব্যবস্থাপকসহ ৪৯ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিআইপিআরবি’র আরসিএইচ ইউনিট এর পরিচালক প্রফেসর ডা. এম.এ হালিম এবং ইউএনএফপিএ’র টেকনিক্যাল অফিসার ডা. অনিমেষ বিশ^াস। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত দুই বছরের কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন আরসিএইচ ইউনিটের টিম লিডার ডা. আবু সাঈদ মোঃ আবদুল্লাহ।
সভায় অংশগ্রহনকারীদের পক্ষ থেকে সভায় বিগত বছরের অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয় এবং পরবতী সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন- সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের বিশেষ করে, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, চা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন, চা শিল্প শ্রম কল্যাণ বিভাগ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদশন কাযালয়, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ টি বোড, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সিআইপিআরবি সহ সকলে একত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাযক্রম পরিচালনা, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। এতে সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও উন্নয়নসহযোগী সংস্থাগুলোর কাযকর যোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন হবে।
উল্লেখ্য- জাতিসংঘের ৪টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ILO (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা), UNFPA (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল), UNICEF (জাতিসংঘ শিশু তহবিল) এবং UN WOMEN (জাতিসংঘ নারী বিষয়ক সংস্থা) এর সহযোগীতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন ও তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে নানা রকম কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।