আজমিরীগঞ্জে কালনী কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙন নিয়ে আতঙ্কে কৃষক

আজমিরীগঞ্জে কালনী কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ফসল রক্ষা বাঁধের ভাঙন নিয়ে আতঙ্কে কৃষক

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ফসল রক্ষা বাঁধে অসময়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা বলছেন- এ ভাঙন বাড়লে জমির ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। কালনী কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এ বেড়িবাঁধের ভাঙন সংস্কারে ন্যূনতম কালবিলম্ব ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। তাই, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা নাহলে আগাম বন্যায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসলহানিসহ গোটা এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
জানা গেছে- আজমিরীগঞ্জ পৌর সদরের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বদলপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় ৭ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধের বয়স প্রায় ৭ বছর। এ সময়ের মধ্যে বাঁধটি কয়েক দফায় সংস্কার করা হলেও গোড়া থেকে মাটি কাটার ফলে সেটি তেমন টেকসই হয়নি। যে কারণে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়া বাঁধটির বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এমতাকস্থায় এখনই জরুরি ভিত্তিতে সেটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়- লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পিরোজপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত হাওরে ৪শ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি রয়েছে। এছাড়া বাঁধটি নদীভাঙনের কবলে বিলীন হলে পার্শ্ববর্তী জলসুখা ইউনিয়নের হাওর ও বদলপুর ইউনিয়নের বেশক’টি হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে। বেড়িবাঁধটির ঘাগানি গাছসংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি অংশে ইতোমধ্যে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
কালনী কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধটি এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঁধটি মেরামতে কোনো ঝুঁকি নেয়া ঠিক হবেনা। যদি কোনো কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কয়েকশ হেক্টর ফসলি জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
এখানকার মূল ফসলই বোরো। ধান ঘরে তুলতে না পারলে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। তাই, বাঁধটিতে এখনই জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান- ওই এলাকার জন্য বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধটি দ্রুত মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *