সুরমার ঢেউ সংবাদ :: চা শ্রমিকদের নতুন মজুরী কার্যকর হবে আগামী সপ্তাহে। আন্দোলনের পর ৩১ আগষ্ট বিকেলে তারা গত সপ্তাহের পাওনা ১২০ টাকা এবং আন্দোলন পরবর্তী প্রথম তলব (মজুরী) নিয়েছেন। এ অবস্থায় বাগান কর্তৃপক্ষ ৫ সপ্তাহের ক্রেডিটে ১ হাজার টাকা অগ্রীম দিয়েছেন। বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান- রবি থেকে শনিবার পর্যন্ত ৭ দিনের মজুরি দেয়া হয় প্রতি বুধবারে। তবে, এ ৭ দিনে কর্মবিরতি থাকায় কোন কাজ হয়নি। শুধুমাত্র ছুটির দিনের মজুরি পাবেন শ্রমিকরা। তবে তাদের জীবন নির্বাহের স্বার্থে প্রত্যেক বাগানেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রীম টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান- বাগানগুলোর পঞ্চায়েত প্রধানদের সাথে আলোচনা করে কোন বাগানে ১ হাজার, কোন বাগানে ৮ শত, কোন বাগানে ৬ শত টাকা করে অগ্রীম দেয়া হয়েছে- যা পরবর্তী তলব (সাপ্তাহিক প্রেমেন্ট) থেকে ২ শত টাকা করে কেটে রাখা হবে।
এ ব্যাপারে ফিনলে টি এর সিইও ও বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিনিয়র সদস্য তাহসিন আহমদ চৌধুরী জানান- শ্রমিকদের অগ্রীম মজুরি দেয়া হচ্ছে এ সপ্তাহে। সাথে রেশনও দেয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক চা বাগান ব্যবস্থাপনা পরিষদকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান- কাজ না করলে রেশনও দেয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু, আমরা ভর্তুকিতে গত সপ্তাহের পুরো রেশন শ্রমিকদেরকে দেয়ার জন্য সব বাগানে বলে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রেশনের আটা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল ফুলছড়া চা বাগানের মঞ্জু তন্তবাই জানান- বাগানে তার একার কাজ। পরিবারে ৪ সন্তান, বৃদ্ধ মা ও স্ত্রী মিলিয়ে ৭ জন পোষ্য। তিনি বাগানে ড্রেন খনন ও স্প্রে দেয়ার কাজ করনে। এ কাজ করে অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ কম। যে টাকা তিনি সাপ্তাহিক মজুরিতে পান তা দিয়ে এমনিতেই তার চলা কষ্টকর। তার উপর আগামী ৫ সপ্তাহ ক্রেডিটের ১ হাজার টাকা কাটবে। এটি সামাল দেয়া তার জন্য কষ্টসাধ্য হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান- পঞ্চায়েত প্রধানরা কর্মবিরতিকালীন মজুরি পাওয়ার জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন মালিক পক্ষের কাছে। আগামী চুক্তির বেঠকে চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিবেচনার জন্য বাংলাদেশীয় চা সংসদকে অনুরোধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার ঘোষনা দেয়ার পরদিন রবিবার থেকে শ্রমিকরা ১৭০ টাকা করে মজুরী পাবেন- যা দেয়া হবে আগামী বুববার থেকে।