মৌলভীবাজারে টিকটক লাইভ করে অঅত্নহত্যা করলেন সেলুনকর্মী

মৌলভীবাজারে টিকটক লাইভ করে অঅত্নহত্যা করলেন সেলুনকর্মী

বিশেষ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারে টিকটক লাইভ করে পরিচিতদের কাছে মাফ চেয়ে আত্নহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবনের ইতি টানলেন এক কিশোর সেলুনকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার শহরের শমশেরনগর সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যাণ্ড এলাকায়। ৩১ জুলাই সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার ‘প্রদীপ হেয়ার ড্রেসার’ নামক সেলুন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই কিশোর সেলুনকর্মীর নাম জয় চন্দ। তার বাড়ি জেলার জুড়ী উপজেলায়। সে প্রদীপ হেয়ার ড্রেসারে নরসুন্দরের কাজ করতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়- সকালে সেলুনটি বন্ধ দেখে পাশের দোকানের এক পান ব্যবসায়ী বাইরে থেকে জয়কে ডাকাডাকি করেন। জয় সাড়া না দেয়ায় তার সন্দেহ হয়। পরে সেলুনের ভিতরে প্রবেশ করে জয়ের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সেলুনের ফ্যানে ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আত্নহত্যা করার পূর্বে টিকটক লাইভে জয় চন্দ বলেছিলেন- আসসালামু আলাইকুম গাইজ, আমি এখন খুব ডিপ্রেশনের মাঝে আছি। আমি বাচমু কিনা মরমু আমি জানিনা। যদি বাচিয়া থাকি তে আবার দেখা অইবো। আমি খুব বেশি ডিপ্রেশনের মাঝে আছি। কেউরির কাছে যদি কোনো ভুল ত্রুটি অইয়া থাকে আমারে মাফ করিয়া দিবা। আর যদি বাচিয়া থাকি তে আমি টিকটকে আবার আইমু। আমার মাথায় কাজ করের না। আমি বর্তমানে ফ্যামিলিগতভাবে খুব বেশি চাপে আছি। মানে আমি এখন যদি আমারে দেউখরা কেউ নাই। আমি এখন মরমু মরা ছাড়া আমার আর গতি নাই’
এদিকে, ঘটনার পর থেকে সেলুন মালিক সেলুন বন্ধ রেখেছেন। ওই কিশোর কেন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য জানা না গেলেও, প্রত্যক্ষদর্শী এবং কিশোরের টিকটক ভিডিও থেকে অনুমান করা যায় পারিবারিকভাবে আর্থিক টানাপোড়েনের জন্য আত্নহত্যার মাধ্যমে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *