সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি ভার্চুয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে। মৌলভীবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি ভার্চুয়াল কনফারেন্সে পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ আবু ইউসুফ, সিভিল সার্জন ডাঃ তউহীদ আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জেল সুপার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, প্রবেশন অফিসার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি, জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা, কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর, সিআইডি ইন্সপেক্টর ও জেলার বিভিন্ন থানার অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। কনফারেন্সের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান।
কনফারেন্সে বিভিন্ন থানার মূলতবী পরোয়ানার বিবরণ তুলে ধরে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন থানা থেকে আগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হবার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকাজ সম্পন্ন করত: প্রতিবেদন দাখিল, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করত: তাদের নিরাপত্তা বিধান ও গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দকরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।
কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী বক্তাগণ দ্রুত গ্রেফতারী পরোয়ানা, সাজা পরোয়ানা, হুলিয়া, ক্রোকী পরোয়ানা তামিল ও সমন জারির ব্যবস্থা গ্রহণ, তদন্তকার্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান, তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার, হয়রানী বন্ধ, সময়মতো পি/এম রিপোর্ট ও এম/সি প্রদান, মামলার আলামত সংরক্ষণ ও সঠিক নিয়মে নিষ্পত্তি, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও নিষ্পত্তিকৃত নথি দ্রুত রেকর্ডরুমে প্রেরণ, আদালত ও বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ নানাবিধ বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামতসমূহ তুলে ধরেন।
বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য উপস্থিতি কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যার আইনি সমাধান, প্রশ্নোত্তর প্রদান এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করত: সমাপনী বক্তব্যে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান বলেন, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচারপ্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারষ্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত ও আগত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।