মোহাম্মদ হায়দার :: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৩ ডাকাত গ্রেফতার ও দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতিকৃত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৭ আগস্ট রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার) এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ আগস্ট রাত প্রায় আড়াইটার দিকে উপজেলায় ২নং উত্তরভাগ ইউপির পশ্চিম লালাপুর গ্রামের মৃতঃ সিরাজ মিয়ার স্ত্রী আমিরুন নেছার ঘরে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসহ প্রবেশ করে আক্রমণ করে। এসময় তাঁরা বারান্দার কলাপসিবল গেইটের তালা কেটে ও রুমের ছিটকারি ভেঙ্গে ঘরের লোকদের হাত-পা বেধে নগদ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে।
এ ঘটনায় ওইদিনই রাজনগর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আজমল হোসেন, রাজনগর থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার সুলেমান আহমদসহ রাজনগর থানার একটি টিম ডাকাতির এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপরতা শুরু করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ আগস্ট শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার ২নং উত্তরভাগ ইউপির নয়াটিলা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। নয়াটিলা গ্রামের জাকির হেসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত জাকির হোসেন (৪০), রুবেল মিয়া (৩০), আমির হোসেন (৪১)-কে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর পুলিশের কাছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং ডাকাত জাকির হোসেন এর দেখিয়ে দিলে তাদের হেফাজত থেকে এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি রূপার চেইন এবং নগদ আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে জাকির হোসেনের বসত বাড়ীর পাশের ঝোপ থেকে একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি একটি কালো রংয়ের খেলনা পিস্তল, কাঠের হাতল বিশিষ্ট লোহার তৈরি দুটি ছুরি, একটি লোহার তৈরি রামদা, একটি লোহার তৈরি হ্যামার, তালা কাটায় ব্যবহৃত একটি লোহার তৈরি কাটার জব্দ করা হয়। পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ডাকাতরা হলেন- নয়াটিলা গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে জাকির হোসেন, শাহাপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন, লালাপুর (পানিসাইল) গ্রামের জমির আলীর ছেলে রুবেল মিয়া। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেফতারকৃত ডাকাতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডাকাত দলের পলাতক সদস্য এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।