সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নস্থিত কর্মধা গ্রামের আব্দুল মন্নানের কন্যা বেগমানপুর গ্রাম নিবাসী মোছাঃ রহিমা বেগম আজ ২৩ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছাঃ রহিমা বেগম জানান- গত ২৩/০৮/২০২৩ইং রবিবার রাত আনুমানিক ১১টায় একই গ্রামের মৃতঃ আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল করিম, মৃতঃ মবু মিয়ার পুত্র মোঃ খছরু মিয়া গং ১৩ জন দা, রড ইত্যাদি দেশীয় আস্ত্রশস্ত্রসহ সম্মিলিতভাবে বাড়ীতে ঢুকে তার পিতা আব্দুল মন্নান, মাতা চন্দ্রবান বিবি, ভাই মোঃ সালাম ও ভাবী রেহেনা বেগমকে বেধড়ক মারধোরপূর্বক গুরুতর জখম করে। তার পিতার শরীরে ১০০-১৫০টি সেলাই লাগে। তিনি মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে ঘটনাস্থলে পৌছে দেখেন আসামীরা চলে যাচ্ছে। এসময় তিনি পুলিশের সহায়তায় তার পিতাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় উক্ত ১৩ জনকে আসামী করে তিনি কুলাউড়া থানায় একটি মামলা [নং- সিআর ৪২৩/২০২৩ (কুলা)] দায়ের করেন। পরবর্তীতে তার মামলার ১নং ও ২নং আসামীকে স্বাক্ষী এবং তার পিতা, মাতা, ভাইসহ সবাইকে আসামী করে একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়। সাজানো মামলায় বলা হয় মামলার স্বাক্ষী মোঃ খছরু মিয়ার বাড়ীর উঠানে জনৈক রুবেল আহমদকে তারা হত্যা করেছে। অথচ, এসময় তার দায়েরী মামলার ১নং আসামী আব্দুল করিম ও ২নং আসামী মোঃ খছরু মিয়া গং ১৩ জনের বেধরক মারধোরে তার পিতা আব্দুল মন্নান ও ভাই মোঃ সালাম রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদের নিজ বসতঘরে ছটফট করছিলেন।
তিনি জানান- প্রকৃতপক্ষে তার দায়েরী মামলা [নং- সিআর ৪২৩/২০২৩ (কুলা)] ধামাচাপা দিতেই ওই সাজানো মামলা করা হয়েছে। সাজানো মামলার স্বাক্ষী এবং তার দায়েরী মামলার ১নং ও ২নং আসামী আব্দুল করিম ও মোঃ খছরু মিয়াকে গ্রেফতারপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দাবীর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার দায়েরী মামলার সঠিক তদন্ত ও আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তার পিতৃপরিবারের সদস্যদেরকে, ওই সাজানো মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন মোছাঃ রহিমা বেগম।