ছালেহ আহমদ সেলিম, বিশেষ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারে সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৯ জুলাই রোববার। অবসটেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার এর আয়োজনে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দুপুর ১২টা থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বিনা তদন্তে চিকিৎসক গ্রেফতার ও নিগ্রহের প্রতিবাদ জানানো হয়। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকের নিরাপত্তার দাবী জানান তারা। ডা. মিলির বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার, ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদীকে স্বসম্মানে জামিন দেয়ারও আহ্বান জানান চিকিৎসকরা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, গাইনি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. হাদী হোসেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কনসালটেন্ট ডা. সুধাকর কৈরী, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. নিবাশ পাল, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. ফারজানা হক পর্ণা, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. ইসমত জাহান, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. মির্জা ফারজানা হলি, গাইনোকোলজি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. রওশন আরা জামান, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. বদরুন নাহার রুমি, গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. হুসনে আরা স্বপ্না, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিনিয়র মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. জিয়াউর রহমান. অর্থোপেডিকস কনসালট্যান্ট ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট ডা. এনাম উর রশিদ দীপু, এনেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট ডা. আবু রায়হান, এনেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. ভৃগোমুল সিংহ, এনেস্থেশিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মঞ্জু লাল রায়, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. এখলাছুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. জয়দীপ পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গাইনি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. হাদী হোসেন বলেন- ডা. মিলির বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা করা হয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়েরী অন্যায় মামলা প্রত্যাহার এবং স্বসম্মানে জামিন দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। গাইনি বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কনসালটেন্ট ডা. সুধাকর কৈরী বলেন- ‘আমরা চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই। একজন মুমুর্ষ রোগীকে নির্ভয়ে চিকিৎসা দিতে চাই। নিগ্রহ এবং মামলা খেলে চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গাইনোকোলজি কনসালটেন্ট ডা. মির্জা ফারজানা হলি বলেন- চিকিৎসকরা রোগীদের প্রতি খুবই আন্তরিক ও যত্নশীল। অনেকের ধারণা আছে যে, চিকিৎসকরা কোনো কারণ ছাড়া সিজার করে ফেলেন। এটা সম্পুর্ণ ভুল ধারণা। নিরাপদ প্রসব এবং মা ও সন্তানের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনবোধে সিজার করা হয়। এনেস্থেশিয়া কনসালট্যান্ট ডা. এনাম উর রশিদ দীপু বলেন- চিকিৎসকের কাজ রোগীদেরকে চিকিৎসা দেয়া, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা নয়। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই।