সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার পৌরসভা পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক ক্রয় করবে। পলিথিন ও প্লাস্টিক সহজে পচেনা এবং মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে। আগুনে পোড়ালে কার্বন তৈরি হয়- যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত পলিথিন রাস্তাঘাটসহ বাসাবাড়ির আঙিনাকে অপরিচ্ছন্ন করে। আর, এ পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক ক্রয় করার উদ্যোগ নিয়েছে মৌলভীবাজার পৌরসভা।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ও পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য পৌর নাগরিকরা উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক-পলিথিন ফেলতে পারবেনা। পৌরসভা প্লাস্টিক ও পলিথিন ক্রয় করে নিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে পুনঃপ্রক্রিয়া করবে। এছাড়া পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈবসার ও বায়োগ্যাস তৈরি করা হবে। এজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
চলতি জুলাই মাস থেকে প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এ দুদিন বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক ক্রয় করবে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরমেয়র মোঃ ফজলুর রহমান বলেন- মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য বাসা বাড়িতেই পৃথকীকরণ করা হবে। অর্থাৎ পচনশীল বর্জ্য থাকবে একটা বিনে এবং অপচনশীল বর্জ্য থাকবে অপর একটি বিনে। পৌরসভা থেকে ইতোমধ্যে ময়লা রাখার বিন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অপচনশীল বর্জ্য রাখার জন্য আরেকটি বিন দেয়ার কার্যক্রম চলছে। মেয়র আরও জানান- পৌর নাগরিকরা যেন পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য বাসা বাড়িতেই পৃথকীকরণ করেন সেজন্য আমরা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। লিফলেট বিতরণসহ পৌর নাগরিকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর জাতীয় পরিষদ সদস্য আ.স.ম. সালেহ সোহেল বলেন- মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও পলিথিন ক্রয় করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। আমরা পরিবেশকর্মীরা পৌর মেয়রের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পলিথিন ও প্লাস্টিক পঁচেনা। ফলে, মাটির উর্বরতা কমায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করে। পলিথিন ও প্লাস্টিক পানি নিষ্কাশনসহ পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা চাই দেশের প্রতিটা পৌরসভায় এমন উদ্যোগ নেয়া হোক।