রুহুল আলম রনি :: মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার। ইতিহাস ঐতিহ্যে সংগ্রাম ও সাফল্যের পঞ্চম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারেও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালীটি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে চৌমোহনায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মাহবুবুর রহমান রুমেলের সভাপতিত্বে ও তথ্য সম্পাদক কিবরিয়া আহমদের সঞ্চালনায় দিল্লী রেষ্টুরেন্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গণঅধিকার পরিষদের জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদা খানম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্যসচিব অপু রায়হান ও যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জুবায়ের আহমদ।
প্রধান অতিথি নাহিদা খানম বলেন- ছাত্ররা হলো সমাজের ভবিষ্যৎ। তাই, তাদেরকে সোচ্চার হয়ে দেশ ও দশের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং শিক্ষাখাতে বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ ছায়ার মতো সবসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের পাশে থাকবে।
সভাপতি মাহবুবুর রহমান রুমেল বলেন- দেশের শিক্ষাখাত আজ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতির এ দেশে সুপরিকল্পিতভাবে পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পাঠ সংযোজন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এদেশের শিক্ষাখাত আজ অনেকটাই বিপর্যস্ত। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ক্যাম্পাস ভিত্তিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য সৃজনশীল কাজ করে যাচ্ছে। শুরু থেকেই, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন, প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী আন্দোলন, গেস্ট রুমে নির্যাতন বন্ধের দাবিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সৃজনশীল রাজনীতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্রের বদলে কলম তুলে দিচ্ছে। দেশের ছাত্র সমাজের আশ্রয়স্থল হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।