শিকারকৃত পাখি কিনেন প্রভাবশালীরা, হরিণ শিকারও বেড়েছে

শিকারকৃত পাখি কিনেন প্রভাবশালীরা, হরিণ শিকারও বেড়েছে

সুরমার ঢেউ :: হাকালুকি হাওরে শিকারীদের শিকারকৃত পাখি কিনে নেন প্রভাবশালী পরিবারের লোকেরা, হরিণ শিকারও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। সম্প্রতি হাকালুকি হাওরের চাতলা বিলে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, আইইউসিএন ও পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সচেতনমূলক সভায় বক্তাদের আলোচনায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
একসময় হাকালুকি হাওরে শুধু পাখি আর পাখির সমাগম ছিল। দিনে দিনে পাখির সমাগম ও সংখ্যা কমে গেছে। শীত মৌসুমে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাখিরা আমাদের দেশে আসে এবং প্রায়শঃ শিকারীদের হাতে অনেক পাখি মারা পড়ে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় আমাদের দেশে পাখির আগমন বন্ধ হয়ে যাবে। হাকালুকি হাওরের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। বেশি বেশি পাখির সমাগম হলে হাকালুকি হাওরে বেশী বেশী পর্যটকরা আসবে। এতেকরে এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তাই, স্থানীয়ভাবে পাখি শিকার প্রতিরোধ করার বিকল্প নেই। অথচ, প্রতিরোধ তো নয়ই, উল্টো প্রভাবশালী পরিবারের মানুষরা শিকারিদের কাছ থেকে শিকারকৃত পাখি কিনে নেন। যেসব বাড়িতে পাখি সংরক্ষণ হবার কথা সেসব বাড়ির লোকেরাই পাখি শিকার কর্মকান্ডে জড়িত। এলাকার অনেক বড় বড় প্রভাবশালী পরিবারের লোকেরা শিকারিদের কাছ থেকে শিকারকৃত পাখি নেন, হরিণ কিনে নেন। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা বনাঞ্চলে এখন হরিণ শিকার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *