সুরমার ঢেউ :: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, দেশের জনসংখ্যার ২.৮০ শতাংশ ব্যক্তি প্রতিবন্ধী। সেইসাথে ৭.০৭ শতাংশ ব্যক্তি ফাংশনাল ডিফিকাল্টি রয়েছে। গতবছরের ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ-২০২১ এর রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নারীদের তুলনায় পুরুষের মাঝে এবং শহর এলাকার তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় প্রতিবন্ধিতা ও ফাংশনাল ডিফিকাল্টি দুটোই বেশি। শিশুদের বিশেষ করে যোগাযোগ ও মনে রাখার ক্ষেত্রে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁটা, মনে রাখা ও যোগাযোগের ফাংশনাল ডিফিকাল্টি রয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধীতা, মানসিক অসুস্থ্যতা, একাধিক প্রতিবন্ধীতা এবং দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকশক্তির বৈকল্য প্রভৃতি প্রতিবন্ধীতার উল্লেখযোগ্য ধরন। বিবিএস আরও জানায়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্ধেকই আনুষ্ঠানিক শিক্ষাবিহীন এবং তাদের খুব অল্পই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। বয়সের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় গড়ে ২.৩৮ বছর পিছিয়ে থাকে। আরও জানানো হয়, ১৫-৬৫ বছর বয়সী প্রতিবন্ধীদের প্রতি ৩ জনে ১ জন কাজে নিয়োজিত- যাদের অধিকাংশই আত্ম-কর্মসংস্থান ও খানার কর্মে যুক্ত। প্রতি ৩ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে ১ জন প্রতিবন্ধী সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতি ২ জনের ১ জন প্রধানত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া, প্রতি ৩ জন প্রতিবন্ধীর ১ জনের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধন রয়েছে। যাদের নিবন্ধন রয়েছে তাদের প্রায় সবাই কখনো না কখনো সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল এবং এতে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।