সুরমার ঢেউ :: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় বিনামূল্যে স্কুলড্রেস প্রদান ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তিতে অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম (উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম) এর উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে। অভিযোগে প্রকাশ- কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এ কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে বিতরণের স্কুলড্রেস প্রদানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩০০ টাকা এবং উপবৃত্তির তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য ৫০০ টাকা দাবী করেছেন। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় স্কুলড্রেস বঞ্চিত একটি বিদ্যালয়ের হতদরিদ্র শিক্ষার্থীরা ও কয়েকজন অভিভাবক ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেছেন। ইউএনও’র কাছে অভিযোগ দিতে আসা ওই প্রোগ্রামের মুর্শিবাদকুরা উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়া বেগম, ঝুমন আহমদ, মাশরাফি আহমদ, শান্তা বিশ্বাস, অভিভাবক নাসিমা বেগম, সুলতানা বেগম, শিক্ষিকা শিল্পী বিশ্বাস প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন- নতুন বছরের প্রথম মাস অতিক্রান্ত হবার পথে।
এখনও শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়নি। বিনামূল্যের স্কুলড্রেস পাবার জন্য উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন স্কুলে গিয়ে বলেন, জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে না দিলে কাউকে স্কুলড্রেস দেয়া হবেনা। এছাড়া, উপবৃত্তির তালিকায় নাম উঠাতেও ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। আমরা হতদরিদ্র মানুষ, এত টাকা পাবো কোথায়। এমনিতেই লেখাপড়া বন্ধ ছিল। ওই স্কুল চালু হওয়ায় পুনরায় ভর্তি হই, পড়াশুনা শুরু করি। স্কুলড্রেস প্রদানে ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করতে টাকা চাওয়ায় আমরা ইউএনও স্যারের কাছে বিচার দিতে এসেছি।
জানা গেছে- আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম পিইডিপি-৪, সাব-কম্পোনেট-২.৫ এর আওতায় প্রাথমিকে ঝরেপড়া রোধে বড়লেখায় ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ইউনাটেড এফর্ট ফর রুরাল ডেভলাপমেন্ট নামক একটি এনজিও সংস্থা। মোট ৭০টি কেন্দ্রের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ হাজার ১৪ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে ১ জন করে শিক্ষক পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন জানান- স্কুলড্রেস বিতরণ ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য তিনি কোনো টাকা চাননি। অন্য কারণে এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুলড্রেস বিতরণ বিলম্বিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ অভিযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে জানান- এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।