সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ম্যুরাল থেকে এমপি ও চেয়ারম্যানের ছবি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সরকারিভাবে নির্মিত ম্যুরালের মূল নকশায় শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু, সেই মূল নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত ম্যুরালে প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়। এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সাংসদ ও তার ভাইয়ের ছবি ৭ দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৮ জানুয়ারী রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে দুটি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ম্যুরালের নকশায় একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেকপাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুমতি ছাড়াই এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
কোন উদ্দেশ্যে এ ছবি যুক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনতাসির হাসান। এরপর এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন মধ্যনগরের অধিবাসী রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামীলীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি ম্যুরাল থেকে দ্রুত অপসারণ করতে ইউএনওকে নির্দেশ দেয়।