সুরমার ঢেউ সংবাদ :: নতুন বছর ২০২৩ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন। সরকার ইতিমধ্যে ২০২৩ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকা অনুযায়ী ২০২৩ সালে সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২২ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৮ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। ১ নভেম্বর মঙ্গলবার তালিকাটি প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে ৩১ অক্টোবর সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়। আগামী বছরও বরাবরের মতো সাধারণ ছুটি থাকবে ১৪ দিন ও নির্বাহী আদেশের ছুটি থাকবে ৮ দিন।
সাধারণ ছুটি : ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২১ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, ১ মে মে দিবস, ৪ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২৯ জুন ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটি : ৮ মার্চ শবে বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১৯ এপ্রিল শবে কদর, ২১ এবং ২৩ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগের ও পরের ২ দিন, ২৮ এবং ৩০ জুন ঈদুল আজহার আগের ও পরের ২ দিন ও ২৯ জুলাই আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
মুসলিম পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি : ১৯ ফেব্রুয়ারি শবে মেরাজ, ২৪ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ৩য় দিন, ১ জুলাই ঈদুল আজহার ৩য় দিন, ১৩ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা ও ২৭ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম।
হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি : ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৮ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রী ব্রত, ৭ মার্চ দোলযাত্রা, ১৯ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১৪ অক্টোবর মহালয়া, ২২ ও ২৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (অষ্টমী ও নবমী), ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা ও ১২ নভেম্বর শ্যামাপূজা।
খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি : ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ২২ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ৬ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ৮ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ৯ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগের ও পরের দিন)।
বৌদ্ধ পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি : ৫ ফেব্রুয়ারি মাঘীপূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১ আগস্ট আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২৮ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা ও ২৮ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐচ্ছিক ছুটি : ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য আগে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
