মোঃ শাহ জালাল, রাজনগর উপজেলা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নস্থিত আব্দুল্লাহপুর (ছরখারপাড়) এলাকায় রাজনগর উপজেলা অংশের কুশিয়ারা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালুখেকো লিটন মিয়াকে আটক করে ১০ দিনের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান এবং উত্তোলনকৃত ৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়। এ অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন রাজনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিদা আক্তার।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক সরেজমিন অভিযানে গিয়ে, ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে দেখতে পেয়ে ড্রেজার ও ট্রলারের ৫ শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দিয়ে মূল বালুখেকো লিটন মিয়াকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনা হয়।
এসময় তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উত্তোলনকৃত ৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয় এবং মূল বালুখেকো লিটন মিয়াকে ১০ দিনের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে কারাগাওে পাঠানো হয়। প্রথমে আটককৃতরা সাধারণ শ্রমিক হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর এলাকার নাগরিক ও ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লিটন মিয়া নিরাপদে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করতে আব্দুল্লাহপুর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য পার্শ্ববর্তী জাহিদপুর গ্রামের নানু মিয়া’র মেয়েকে বিয়ে করে। এরপর শ্বুবাড়ীর লোকজনের ছত্রছায়ায় অবদুল্লাহপুর এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে কতিপয় লোকজনের সহায়তায় দীঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিল।
উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বেকামুড়া গ্রামের মনাই মিয়া সম্প্রতি উক্ত লিটন মিয়াসহ জাহিদপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া, মোঃ সালাম মিয়া, নানু মিয়া, কবির মিয়া, নোমান মিয়া, সঞ্জয় দাশ, আমীর আলী, এলাইছ মিয়া ও ডাক্তার রহমানের পুত্র নানু মিয়ার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও রাজনগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেন। এছাড়া, সুরমার ঢেউসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।