ইশরাত জাহান চৌধুরী, ষ্টাফ রিপোর্টার :: সারাদেশের অপর ৫৬টি জেলা পরিষদের ন্যায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের মেম্বার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আজ ১৭ অক্টোবর সোমবার। ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিন জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে- ভোটারদের উপস্থিতি কম। ভোটারদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাই বেশি। চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মিছবাহুর রহমান এবং ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী মোঃ মশিউর রহমান রিপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায়, অবশিষ্ট সাধারণ ওয়ার্ড মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচনে ৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ২১ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৭ জন প্রার্থী। জেলার ৬৭টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার পুরুষ ভোটার সংখ্যা মোট ৭৩৩ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা মোট ২২৩ জন। জেলার মোট ৭টি ভোটকেন্দ্রে ৯৫৬ জন উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সাধারণ মেম্বার ও ইউপি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নারী মেম্বার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মাঠে কাজ করেছেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক টহলে ছিলো র্যাব ও বিজিবি।
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান- অবাধ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর ছিলো এবং এজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আলমীগর হোসেন বলেন- জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্টু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়ন করা হয়েছিলো। সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ে ছিলো ভ্রাম্যমান আদালত।
নির্বাচনে সাধারণ আসনে বিজয়ী হয়েছেন- কমলগঞ্জে অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, শ্রীমঙ্গলে মশিউর রহমান রিপন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), কুলাউড়ায় বদরুল আলম নান্নু, জুড়ীতে বদরুল ইসলাম, বড়লেখায় আজিম উদ্দিন, রাজনগরে জিয়াউর রহমান ও মৌলভীবাজার সদরে হাসান আহমদ জাভেদ।
সংরক্ষিত নারী আসনে বিজয়ী হয়েছেন- শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ হেলেনা চৌধুরী, সদর-রাজনগর রাকিবা সুলতানা তালুকদার ও বড়লেখা-জুড়ী-কুলাউড়া শিরিন আক্তার চৌধুরী মুন্নী।