সুরমার ঢেউ সংবাদ :: গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্ততিকালে পৃথক অভিযানে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করেছে নবীগঞ্জ ও মাধবপুর থানা পুলিশ। সড়কে গাছ ফেলে একটি ট্রাক আটকে ডাকাতির চেষ্টাকালে মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতদল পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। পরে গুলি ছুড়ে ১ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ এবং তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ১ ডাকাতকে আটক করা হয়। এছাড়াও নবীগঞ্জ থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া আরও ৩ ডাকাতের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেছে নবীগঞ্জে আটককৃত ডাকাতদল।
নবীগঞ্জ থানার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- ১ অক্টোবর শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমদের নির্দেশে এসআই স্বপন সরকার, মোঃ আবু সাঈদ, জাহাঙ্গীর আলম, অনিক পালসহ পুলিশের একটি টিম ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ থানাধীন ৫নং আউশকান্দি ইউনিয়নের জে.আই.সি স্যুট গার্মেন্টসের পাশে ডাকাতদলের আস্তানায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাতকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এসময় ৮-৯ জন ডাকাত কৌশলে পালিয়ে যায়। আটককৃত ডাকাতরা হল- হোসেনপুর গ্রামের তাহির আলীর ছেলে লিমন মিয়া (২৮), একই গ্রামের মৃতঃ হাজী ইমাম উদ্দিনের ছেলে ওয়ারিছ উদ্দিন (২৯) এবং ময়না মিয়ার ছেলে আক্কাছ মিয়া (২৯)। তাদের কাছ থেকে ধারালো রামদা, লোহা কাটার ছেনি, রডসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে পালিয়ে যাওয়া ১২নং কালিয়াভাঙ্গা ইউপির রানীগাঁও গ্রামের মিনার মিয়া (৩২), দুর্গাপুর এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে লিমন (৩৫), মনসুরপুর এলাকার নুরুল বারীর ছেলে ছাতারুল বারী জঙ্গি (৩৫) সহ ৩ ডাকাতের নাম প্রকাশ করে।
পুলিশ জানায়- মিনার মিয়া এবং লিমন মিয়া উক্ত ডাকাত দলকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর দিয়ে অস্ত্র-শস্ত্র সংগ্রহ করে আউশকান্দি বাজারের আশপাশ এলাকায় ডাকাতি করার জন্য ঘটনাস্থলে সমবেত হয়। গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকত দলের সক্রিয় সদস্য বলেও জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতদেরকে ২ অক্টোবর রবিবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মাধবপুর থানা পুলিশ জানায়- ১ অক্টোবর শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে একটি ট্রাক আটকে ডাকাতির চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক চন্দ্র দেব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতদল পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়। পুলিশ শর্টগানের ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়লে ডাকাত দল পালিয়ে যাবার সময় জুয়েলকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ১ ডাকাতকে আটক করা হয়। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জুয়েল চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের হুরারকই গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আটককৃত ডাকাত চুনারুঘাট উপজেলার পাইকুড়া গ্রাম থেকে আকল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৫)। তাদেরকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।