সুরমার ঢেউ সংবাদ :: নতুন সভাপতি সাঈদুর রহমান রেনুর নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর ক্যাপটাউন তারা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিবিসিসিআই’র নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিদায় ও নতুন সভাপতি সাঈদুর রহমান রেনুর নেতৃত্বাধীন কমিটিকে স্বাগত জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনস্থ বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীবৃন্দসহ বাংলাদেশি গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই ব্রিটেনের সদ্য প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রথমেই বক্তব্য দেন বিবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ। বক্তৃতাকালে তিনি তার কার্যকালে যুক্তরাজ্যসহ সমগ্র ইউরোপ ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির ভূমিকা উপস্থাপন করেন। নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। বিবিসিসিআিই’র নতুন প্রেসিডেন্ট সাঈদুর রহমান রেনু তার বক্তৃতায় বলেন, যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ এ বাণিজ্যিক সংগঠনে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আগামীদিনে তিনি সকলকে সাথে নিয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে আরো গতিশীল ও কার্যকর সংগঠনে পরিণত করার সর্বাত্নক চেষ্টা করবেন। তিনি জানান, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে কৃষি পণ্য, দক্ষ শ্রমিক, দেশীয় ফল, সবজি যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে আমদানিসহ আরও অনেকক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অচিরেই তিনি এ কাজগুলো শুরু করবেন। এক্ষেত্রে হাই কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশননার সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে বাংলাদেশিদের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে বিবিসিসিআিই। এক্ষেত্রে হাইকমিশন সবসময়ই ব্যবসায়িদের পাশে ছিল এবং আগামীতেও সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে বিবিসিসিআইকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বিবিসিসিআইর পরিচালক মনির আহমেদ, আবুল হায়াত, নুরুজ্জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিবিসিসিআই বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের পরিচালক আসাদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ আরও আয়োজন থাকলেও রানী এলিজাবেথের মৃত্যুর কারণে এগুলো বাতিল করে শুধু রাতের খাবার শেষে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।