সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছতিয়া গ্রামে গরু ক্ষেতের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আয়েশা আক্তার (১৮) নামে এক যুবতির মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জুলাই বুধবার আয়েশার বিয়েরও দিনক্ষণ ছিল। নিহত আয়েশা আক্তারের মা, বোন ও শ্বাশুড়িসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় হামলাকারী ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঈদুল আজহার আগের দিন ৯ জুলাই বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ছতিয়া গ্রামের জহুর মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়ার খেতের ধান খেয়েছিল পাশের বাড়ির মৃত আজাদ মিয়ার বাড়ির গরু। এ নিয়ে উভয় পরিবার সদস্যদের মাঝে সৃষ্ট বিরোধে সোমবার (৯ জুলাই) বিকেলে প্রতিপক্ষ সিরাজ মিয়া (৩২), তার ভাই রিয়াজ মিয়া (৩০) চাচাতো ভাই সামাদ মিয়া (৩৫), আলমাছ মিয়া ও মা সালাতুন বেগম দেশীয় অস্ত্রেসন্ত্রে হামলা চালায়। এ হামলায় আয়েশা আক্তার (১৮), মা কনিজা বেগম (৫৫), জুবেদা বেগমও সালেহা বেগম গুরুতরভাবে আহত হন। গ্রামবাসী আহত নারীদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে আশংকাজনক অবস্থায় আয়েশা বেগমকে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জুলাই মঙ্গলবার ভোর ৪টায় হাসপাতালে আয়েশার মৃত্যু হয়। আয়েশার পরিবার সদস্যরা জানান বুধবার আয়েশার বিয়ে ছিল একই গ্রামের সালাউদ্দিন সুমনের সাথে। মঙ্গলবার রাতে তার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ছিল। হামলায় আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করায় আয়েশার বিয়ের পিড়িতে বসা হলো না। ১১ জুলাই সোমবার এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে এদিনই পুলিশ সিরাজ মিয়া ও সামাদ মিয়াকে আটক করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক বিজয় প্রসাদ রায় হামলা ও এক যুবতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় সিরাজ ও সামাদ নামে ২ জনকে আটক করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।