সুরমার ঢেউ সংবাদ :: বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার একদিন পরই মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে অসংগতি, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২১ জুন মঙ্গলবার দেশটির ড্যাং ওয়াঙ্গি থানায় মামলাটি করে বেসরকারি এনজিওদের যৌথ সংগঠন ‘ইখলাস’। মামলা দায়েরের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইখলাসের সভাপতি মোহাম্মদ রিদজুয়ান আবদুল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে ইখলাসের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে ১ হাজার ৫২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়াকে দিয়েছে বাংলােদেশ সরকার। ক্ষমতার অপব্যবহার আর দুর্নীতির মাধ্যমে এর মধ্য থেকে ২৫টি এজেন্সি নির্বাচিত করেছেন এম সারাভানান। এ ২৫ এজেন্সির মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন তিনি। মালয়েশিয়ার একজন বড় ব্যবসায়ী এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে করছেন। কিন্তু, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে এ ২৫ এজেন্সির ব্যাপারে সরকার ও মন্ত্রী কিছুই জানেন না।
এদিকে শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবাহ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হ্যারিস সালেহ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণকে একটি ‘মুর্খ ধারণা’ বলার জন্য সারাভানানের পদত্যাগ করা উচিত। কোনো মন্ত্রী মন্ত্রিসভা বা ফেডারেল সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হন, তাহলে তিনি পদত্যাগ করুক। এটি সংসদীয় গণতন্ত্র।
দ্য বিজনেস পোস্টের খবর অনুযায়ী, এনজিও সংস্থা ইখলাসসহ আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন থানায় মন্ত্রী এম সারাভানানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যেহেতু ২৫টি এজেন্সি বাংলাদেশ অনুমোদন করেনি তাহলে এই সিন্ডিকেটের পেছনে এম সারাভানান দায়ী।