ইশরাত জাহান চৌধুরীঃ মানুষের আলোকিত জীবনের উপকরণ হচ্ছে বই। জগতে শিক্ষার আলো, নীতি-আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতি—সবই জ্ঞানের প্রতীক বইয়ের মধ্যে নিহিত। মানবজীবন নিতান্তই একঘেয়ে দুঃখ-কষ্টে ভরা, কিন্তু মানুষ বই পড়তে বসলেই সেসব ভুলে যায়। পৃথিবীতে বিনোদনের কত কিছুই না আবিষ্কৃত হয়েছে, কিন্তু বই পড়ার নির্মল আনন্দের কাছে সেগুলো সমতুল্য হতে পারেনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বই পড়ে নিজেদের জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে। শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিমূল কোনো মজাদার বইয়ের বিষয়বস্তু বা ঘটনা মানুষ সহজে ভুলে যায় না। তাই জীবনের অবসর সময়গুলো বইয়ের নেশায় ডুবে থাকা দরকার।
জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার থাকা একান্ত প্রয়োজন। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার আদর্শ কলেজ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার আদর্শ কলেজে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একটি পাঠাগার নির্মাণ করা হয়। পাঠ্যাভ্যাস বাড়াতে অগ্রসরমান সমাজের জ্ঞানীরা বিভিন্ন লাইব্রেরীতে বই বিতরণ করে থাকেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেরণা যোগাতে কলেজ পাঠাগারের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম পদার্থবিদ, বুদ্ধিজীবী ও কথা সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার দ্বিতীয়বারের মত নিজের লিখা বই উপহার দিয়েছেন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে স্যারের পক্ষে
বিশিষ্ট সমাজ সেবক এবং শিক্ষানুরাগী সাহাজান সিরাজ বই গুলো দাসের বাজার আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরঞ্জিত দেব নাথের কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় কলেজের প্রভাষক অলোক দেব, প্রভাষক মো. আরমান আলী, প্রভাষক মো.ওয়াহিদুর রহমান,সাংবাদিক মোহাম্মদ মস্তফা উদ্দিন, ও শিক্ষার্থী ছামিদ আহমদ মাসুক উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরঞ্জিত দেব নাথ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করতে স্যার দ্বিতীয় বারেরমত বই পাঠিয়েছেন,শিক্ষার্থীরা স্যারের লিখা বই গুলো পড়ে লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহিত হবে।
তাদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে ভিন্ন সাধের এই বই গুলো।