মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে কলেজছাত্রীর ১০,৬৩০ টাকা

মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে কলেজছাত্রীর ১০,৬৩০ টাকা

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে কলেজছাত্রীর ১০,৬৩০ টাকা। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে গত ১০ জুলাই বিকালে। মৌলভীবাজার মডেল থানায় দায়েরী ওই ছাত্রীর মায়ের সাধারণ ডায়রীর আবেদন সূত্রে জানা গেছে- গত ১০ জুলাই বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে ০১৮৮৮-৫৫৫৮২৩ নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় পুরুষ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নস্থিত বড়বাড়ী গ্রামের ভানু সরকারের ০১৭৫১-৮৩৯৮৫২ নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোনে কল করে তার মেয়ে মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্রী লক্ষী রানী সরকার উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে কি-না জানতে চায়। জবাবে তিনি জানান, পায়নি। তখন ওই ব্যক্তি তার কাছে তার মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে তিনি তার মেয়ের নম্বর দেন। বিষয়টি তিনি তার মেয়েকে জানালে তার মেয়ে লক্ষী রানী সরকার তার ০১৭৪১-৮৫৫০৫৪ নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোন থেকে ০১৮৮৮-৫৫৫৮২৩ নম্বরে কল করে বিস্তারিত জানতে চাইলে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বলে, ‘তোমার উপবৃত্তির টাকা এসেছে। তুমি একটা বিকাশ নম্বর দাও’। তখন লক্ষী রানী সরকার ০১৭৯৯-২১৭৪৫৭ বিকাশ নম্বরটি তাকে দেয়। সাথে সাথে ওই বিকাশ নম্বরে বিকাশ থেকে একটি এসএমএস আসে। এরপর ০১৮৮৮-৫৫৫৮২৩ নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিটি তাকে কল করে বলে ‘দেখ তো টাকা গেছে কি না’। তিনি টাকা আসেনি জানালে ওই ব্যক্তি বলে, ‘তোমার বিকাশের লিমিট নাই। একটু অপেক্ষা করো, একজন ম্যাডাম তোমাকে কল করে আলাপ করবেন’। একটু পরে ০১৮৯৩-৯০৫৪৮১ নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে একজন মহিলা লক্ষী রানী সরকারকে বলে, ’কোন বিকাশের দোকানে গিয়ে তোমার বিকাশে ২০,৪০০ (বিশ হাজার চারশত) টাকা ঢুকাও। তাহলে তোমার বিকাশ চালু হবে এবং তোমার উপবৃত্তির টাকা পাবে’। তখন লক্ষী রানী সরকার বলে আমাদের এত টাকা ঢুকানোর সামর্থ্য নাই। চেষ্টা করলে ১০ হাজার টাকা ঢুকাতে পারব। তখন ওই মহিলা ১০ হাজার টাকা ঢুকাতে বললে আমার লক্ষী রানী সরকার শ্যামরা বাজারস্থিত মসজিদ মার্কেটে জুবেদ আহমদের শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামীয় বিকাশের দোকান থেকে ০১৭৯৯-২১৭৪৫৭ বিকাশ নম্বরে ১০ হাজার টাকা ঢুকান। পরবর্তীতে তিনি উপবৃত্তির টাকা এসেছে কি না তা চেক করে দেখতে পান তিনি যে ১০ হাজার টাকা ঢুকিয়েছেন সেই টাকা এবং আগে থেকেই একাউন্টে থাকা আরও ৬৩০ টাকাও নাই। এসময় তিনি ০১৮৮৮-৫৫৫৮২৩ ও ০১৮৯৩-৯০৫৪৮১ নম্বরযুক্ত মোবাইল ফোন দুটিতেই কল করে উভয় নম্বরই বন্ধ পান। এরপর দীর্ঘ একসপ্তাহেও কোন কুল কিনারা না পেয়ে গত ১৭ জুলাই মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরীর আবেদন করেন। মৌলভীবাজার মডেল থানা আবেদনটি রাখলেও, সাধারণ ডায়রী রেকর্ড না করে ‘তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলে আশ্বস্ত করেছে। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আর কিছু জানা যায়নি। প্রতারকদের মোবাইল ফোন নম্বর দুটি এখনও বন্ধ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *