সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ১১ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট যুক্ত হবার মাধ্যমে অচিরেই দূর হচ্ছে অক্সিজেন সংকট। ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট ভবনের ছাদ ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঈদুল আজহার পরপরই সকল কাজ সম্পন্ন হয়ে অক্সিজেন সার্ভিস শুরু হবার কথা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইউনিসেফ এটি বাস্তবায়ন করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসবে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক। এটির ধারণক্ষমতা বর্তমানে ১১ হাজার লিটার।
প্রথমে কথা ছিল ৬ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট প্রতিস্থাপনের। কিন্তু, এখন তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট হাসপাতালের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটা বড় যোগান। প্রতি লিটার তরল অক্সিজেন থেকে ৮৬০ লিটার গ্যাসীয় অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।
এ অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পন্ন হলে হাসপাতালের ২৫০ শয্যার প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ লাইন যুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে রোগীর চাপ বিবেচনায় অতিরিক্তও রাখা যাবে। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারসহ যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে সরবরাহ লাইন রাখা যাবে। ফলে, ভর্তিকৃত রোগীরা আগের চেয়ে সহজে বেশি সেবা পাবেন। অক্সিজেন প্ল্যান্ট ভবনের ছাদ ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। এরপর এখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হবে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে ঈদের পরপর লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন শেষে অক্সিজেন সার্ভিস দিতে পারবে। এ প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পন্ন হলে দীর্ঘদিনের চাহিদা ও রোগীদের দুর্ভোগ নিরসন হবে। করোনা রোগী ও নিয়মিত আসা অন্যন্য রোগীরা অক্সিজেন সেবা পাবেন। জেলা স্বাস্ব্য বিভাগ সূত্র জানায়- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুসারে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধে ইউনিসেফের অর্থায়নে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্যোগ নেয়া হয়। গতবছর এ উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ এগিয়েছে ধীরগতিতে। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু, অক্সিজেন প্ল্যান্ট না থাকায় অক্সিজেন সরবরাহে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বেশী ঝুঁকিতে পড়ছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা। দীর্ঘদিন পর হলেও দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সার্ভিস।