সুরমার ঢেউ সংবাদ :: এবার ইংল্যান্ডের একটি স্কুলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে স্কুলের বাইরে অবস্থান এবং বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় কয়েকশো মুসলমান। এ প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিবিসিসহ অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, ২৯ বছর বয়সী ধর্মীয় স্টাডিজের এ শিক্ষক ২২ মার্চ সোমবার ক্লাসে ছাত্রদের কাছে চিত্রটি দেখিয়েছিলেন বলে জানা যায়। ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইনে তার নাম প্রকাশিত হলে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ তাকে সরিয়ে নেয়। ঘটনাটি ঘটে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্যাটলী গ্রামার স্কুলে। ওই স্কুলের একটি ক্লাসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন এক শিক্ষক। ফলে স্থানীয় মুসলমানরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। অভিবাবকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও এ বিক্ষোভে ও প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন- আমরা চুপ করে থাকতে পারিনা, আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সবাইকে বুঝতে হবে এটা হালকা কিছু নয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে।
বিক্ষোভকারী স্থানীয়দের একজন বলেছেন, ‘এ কার্টুন সমগ্র মু’সলিম সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছে। তিনি প্রধান শিক্ষককে মৌখিক ভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করারও দাবি জানানো হয়। ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গ্যারি কিবলে বলেন, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্কুলের প্রতিনিধিত্বকারী সকল সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা তাদের কাছে বড় ধরনের অপরাধ করার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তাছাড়া স্কুলটিতে স্থানীয় সিলেবাস অনুযায়ী বা স্কুলের নির্ধারিত ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায় অনুসারে কিংবা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্ব স্ব নীতি অনুসরণ করার কথা বলা আছে।
এ ঘটনায় ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিক্ষোভের সময় স্কুলের কাছাকাছি রাস্তাটি স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। অভিভাবকরা লকডাউনের সময় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ বা রাস্তা বন্ধ করলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি এবং কোন জরিমানাও করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ওই শিক্ষককে হুমকি ও ভয় দেখানোর নিন্দা জানিয়েছেন এডুকেশন সেক্রেটারি গেবিন উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, অবশ্যই এ কর্মকাণ্ডের অবসান হতে হবে। কোনো সমস্যা হলে আমরা অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের মধ্যে সংলাপকে উৎসাহিত করি। এটি নিয়ে হুমকি প্রদান এবং করোনাকালীন সময়ে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।