সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় মৃত্যুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, দানবীর পাখিপ্রেমি প্রয়াত মাস্টার গোলাম মোস্তফা রাজা মিয়ার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকাধীন হাইল হাওরে অবস্থিত ‘রাজা ফিশারিজ এন্ড হ্যাচারী কমপ্লেক্স’র পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) সানজিদা রহমান কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন কার্যক্রম তদারকি করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আলী তানভীর হক রাহাত, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আলমগীর, আশিদ্রোন ইউপি চেয়ারম্যান নরেন্দ্র প্রসাদ বর্ধণ জহুর ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শহীদ মিয়া।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) সানজিদা রহমান জানান, বিজ্ঞ আদালতের আদেশে আমরা মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পোস্টমর্টেম করার জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। এসআই আলমগীর জানান, প্রয়াত রাজা মিয়ার ছেলে গোলাম মোরসালিন রাজার আবেদনের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলার বিজ্ঞ আদালত মৃতদেহ উত্তোলন করে পোস্টমর্টেম করার নির্দেশ দেন।
আদালতে দায়েরী আবেদনে বলা হয়, দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহান রানী বিপুল সম্পত্তির লোভে রাজা মিয়াকে বালিশ চাপা, বিষ প্রয়োগ কিংবা অন্য কোন উপায়ে হত্যা করে থাকতে পারে। তাই, তিনি কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আবেদন জানান।
বিগত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে রাজা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। রাজা মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে প্রথম স্ত্রী-সন্তান ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দেয়। গত বছরের ২৬ আগস্ট বাবার এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসাবে মেনে না নিয়ে প্রথম পক্ষের ছেলে গোলাম মোরসালিন রাজা তার সৎ মা নূরজাহান বেগমকে প্রধান আসামি ও তার ভাই দেওয়ান আলামিন রাজা, দেওয়ান সেলিম, দেওয়ান জান্নাতুল ফেরদৌস লিখন ও নাছির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।