চাতলাপুর সীমান্তের ওপারে কৈলাসহরে বিজিবি বিএসএফ এর বৈঠক

চাতলাপুর সীমান্তের ওপারে কৈলাসহরে বিজিবি বিএসএফ এর বৈঠক

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চেক পোষ্টের ওপারে ভারত অংশে ভারত-বাংলাদেশের বিএসএফ এবং বিজিবি এর মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৮ জানুয়ারী সোমবার সকাল থেকে সন্ধা ৫টা পর্যন্ত। বৈঠকটি ভারতের ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের জেলা লাইব্রেরী প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দেশের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বর্ডার কো-অডিনেশন বৈঠকে বিএসএফ এর পানিসাগরের সেক্টর হেড কোয়াটারের ডিআইজি রাজীব কুমার দোহা, বিএসএফ ২০ ব্যাটালিয়ানের কমান্ড্যান্ট সংকট প্রসাদ, ও বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গলের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মাহফুজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ান ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুবুল ইসলামসহ দুইদেশের আরও অন্যান্য আধিকারিকরা। আনুসাঙ্গিক অন্যান্য কর্মকান্ড সম্পাদন শেষে সন্ধা ৭টায় তারা দেশে ফিরেন। এর আগে সকাল ৯টায় বিজিবি এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশের চাতলাপুর চেকপোস্ট থেকে ভারতের কৈলাসহরের বর্ডার দিয়ে আসার সময় বিএসএফ পানিসাগর সেক্টরের পক্ষ থেকে স্বাগতঃ জানানো হয় এবং সন্ধায় বৈঠক শেষে ভারতের কৈলাশহর বর্ডার দিয়ে ফেরার সময় বিদায় জানান বিএসএফ এর পানিসাগর সেক্টরের ডিআইজিসহ বিএসএফ-এর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
বৈঠক শেষে ভারতের বিএসএফ এর পানিসাগর হেড কোয়াটারের ডিআইজি রাজীব দোহা বলেন- সীমান্তের নানা বিষয়ে প্রতি তিনমাস পর পর সৈক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হবার কথা থাকলেও করোনার কারনে এ বৈঠকটি বিলম্বিত হয়। তবে বৈঠক সফল হয়েছে। বৈঠকে দুইদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা আরো জোড়দারের পাশাপাশি সীমান্তের ছোটখাটো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় করোনাকালে উভয়দেশের সরকারের বিধি মোতাবেক যাত্রী আসা যাওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়। বৈঠকে অংশগ্রহনকারী বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর মোহাম্মদ মঈন জানান, ভারতের অভ্যান্তরে মনুঘাট আইসিপিতে সেক্টর পর্যায়ে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার ও শুন্যরেখা অতিক্রম এবং মাদকদ্রব্য প্রবেশের ব্যপারে বিএসএফ এর প্রতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জোড়ালো আহবান জানানো হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানসহ উভয়দেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *