সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হাইল হাওরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত গোপলা নদীর পাড়ে কৃষক চলাচলের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে কচুরিপানা প্রবেশ করে আটকা পড়েছে কৃষকের জমিতে। ফলে দুবছর ধরে উপজেলার মীর্জাপুর ইউনিয়নের যতরপুর ও শহশ্রী এলাকায় ধান চাষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক কৃষক।
গত দুবছর নানা আবেদন নিবেদন করেও মেরামত হয়নি বাঁধ। কচুরিপানা পরিস্কারেও আসেনি কোন সহায়তা এমন অভিযোগ যতরপুর ও শহশ্রী এলাকার শতাধিক কৃষকের। আর, এ অবস্থায় চলতি বছরেও প্রচুর পরিমান কচুরিপানা প্রবেশ করায় আগামী মৌসুমে ধান চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন যতরপুর ও শহশ্রী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
মির্জাপুর ইউপি সদস্য মুহিত পাল জানান, গত দুই বছর ধরে উপার্জনের একমাত্র উপায় ধান চাষ না করার কারনে গ্রামের কৃষকরা অনেকেই ধার দেনা করে দিনযাপন করছেন। গোপলার দুইপাড়ে জমে থাকা কচুরীপানা অপসারন কৃষকদের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সরকারের সহায়তা জরুরী। একইসাথে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতও আবশ্যক।
মির্জাপুর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহিত পাল আরো বলেন, এই বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, তিনি জায়গাটি পরিদর্শন করে এসেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে অবগত করবেন। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, গোপলা নদী খনন প্রকল্প নিতে পারলে একই সাথে খনন এবং বাঁধ মেরামত দুটোই হবে। এক্ষেত্রে বাঁধ মেরামত এবং নদী খননের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে আবেদন করতে হবে। এব্যপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খোজ নিয়ে কৃষদের জন্য যা যা করনীয় তিনি সে উদ্যোগ নেবেন।