সুরমার ঢেউ সংবাদ :: অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের দূরদর্শী ও বিচক্ষণ মাইক্রো ইকোনোমি ব্যবস্থাপনার ফলেই মূলত: মহামারী থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে। করোনাকালে স্বাস্থ্য ও মহামারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর ব্যাপক চাপ সত্ত্বেও যথাযথ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের (প্রণোদনা) মাধ্যমে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং মৌলিক সেবাসমূহ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রাপ্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সরকার অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক রপ্তানী আয় ও রেমিটেন্সের পাশাপাশি অথনৈতিক উদ্দীপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিদেশী তহবিলসহ সরকারের মাইক্রো ইকোনোমিক ব্যবস্থাপনার কারণেই মূলত: এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এডিবি’র এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০ এর সর্বশেষ প্রতিবেদনটি ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে করোনাকালে সরকারের দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করা হয়েছে। ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়। এডিবি বাংলাদেশে দীর্ঘকালীন মহামারী ও এর ফলে রপ্তানী আদেশ স্থগিত বা বাতিল হওয়া প্রধান ঝুঁকি হিসেবে মনে করছে।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘আমরা রপ্তানী ও রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী যে, শিগগিরই এটি টেকসইভাবে ঘুরে দাঁড়াবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন (প্রতিষেধক) পেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এই মহামারী মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’
তিনি এই সংকটকে সম্পদ আহরণ, রপ্তানী বৈচিত্রকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে আরো সংস্কারে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এডিবি এই ক্ষেত্রগুলোতে সরকারকে আরো সহায়তা দেবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৯টি প্রকল্পে এডিবি’র প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পোর্টফোলিও রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে ৪৭ বছরের অংশীদারীত্বে এডিবি সহঅর্থায়ন, জনসেবা এবং বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৩৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছে।