সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় একটি কালভার্টে। উভয়পাশের এপ্রোচ সড়কের মাটি সরে গিয়ে কালভার্টটি হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে বলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী লোকজন বাধ্য হয়ে কালভার্ট ব্যবহারের জন্য তৈরী করেছেন সাঁকো।
জানা গেছে- উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর-বাজারিতল গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি ছড়া পারপারে বাঁশের সাঁকোর কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো প্রায় ৪টি গ্রামের হাজারো মানুষকে। ২০০৮ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বর্তমান বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন ওই ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের দিকে ওই ছড়ার ওপর কালভার্ট নির্মাণকাজ শুরু হয়ে পরের বছর শেষ হয়। কিন্তু, নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে ওই বছরই ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কালভার্টের খুঁটির নিচের পাকা অংশ ভেঙ্গে দুপাশের উয়ং ওয়ালের মাটি সরে যায়। এলাকার লোকজন বিষয়টি একাধিকবার জানালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেননি। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার কালভার্টের দুপাশে মাটি ভরাট করে কোনমতে চলাচলের উপযোগী করেন। কিন্তু, ঢলের পানিতে কালভার্টের খুঁটির নিচের পাকা অংশ ভেঙ্গে গিয়ে দুপাশের উয়ং ওয়ালের মাটি ভেসে যায়। এমতাবস্থায় স্থানীয় লোকজন কালভার্টে উঠার জন্য বাঁশের সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছেন। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন জানান, কালভার্টটি অনেক পুরনো। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটির সংযোগ সড়ক নেই। ঢলের পানিতে সংযোগ সড়ক ভেসে গেছে। লোকজন এখন বাঁশের সাঁকো দিয়ে কালভার্ট ব্যবহার করছেন। সরকার বরাদ্দ দিলে সংস্কার করার চেষ্টা করবো। সর্বশেষ, কালভার্টটি সংস্কারের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৃহত্তর মোহাম্মদনগর যুবসমাজ গত ১৬ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরান জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।