সুরমার ঢেউ প্রবাসের সংবাদ :: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকহানাদার বাহিনী দেশব্যাপী যে গণহত্যা চালায়, এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৩১ আগস্ট সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসী গ্রামে পাকহানাদার বাহিনী দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় নারকীয় তান্ডব চালিয়ে গ্রামের ১২৬ জন মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। নারকীয় এ হত্যাকান্ডের পরপরই পাকসেনারা শ্রীরামসী বাজার লুট করে ও বাজারে প্রতিটি দোকান পুড়িয়ে দেয়। এরপর দেশীয় রাজাকাররা গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমে লুটতরাজ চালায় এবং গ্রামের ২৫০টি বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে এবং বিদেশে শ্রীরামসী গ্রামের বাসিন্দারা দিনটিকে আঞ্চলিক শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। ৩১ আগস্ট সোমবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে শ্রীরামসী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন ইউকে এর উদ্যোগে ৩১ আগষ্টের শহীদ স্মরণে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিলের। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও ব্রিটেনে বসবাসরত বৃহত্তর শ্রীরামসী গ্রামের প্রবাসীরা। শ্রীরামসী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন ইউকের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন তারা প্রতিবছরই ব্রিটেনে শ্রীরামসীর শহীদদের স্মরণে দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। শহীদ পরিবার এবং স্বজন হারানোদের দাবী শ্রীরামসী গণহত্যার সাথে জড়িত দেশীয় রাজাকার ও দালালদের বিচার। সংগঠনের সভাপতি হেলাল উদ্দিন আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকনের পরিচালনায় দোয়াপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন শ্রীরামসী যুব সংস্থার সভাপতি তফজ্জুল হোসেন ও শ্রীরামসী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েসন ইউকের সহ-সভাপতি আমির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুন্নু এমবিই, আমির হোসেন, উমর আলী, আবর আলী, ইসলাম উদ্দিন, বিলাল উদ্দীন আলী, আঙ্গুর আলী, জমশেদ আলী, মুক্তার মিয়া, আব্দুল কাহার, আব্দুল আহাদ, ড. আব্দুল হান্নান, তবরিছ আলী, আবুল মালিক মানিক, আব্দুল মছব্বির দুলু, আরফিক আলী, সৈয়দ গোলাব আলী, আনছারুল হক, রেদওয়ান খান প্রমুখ। বাদ জোহর অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন ব্রিকলেন জামে মসজিদের খতিব মোহাদ্দিস নজরুল ইসলাম।