সুরমার ঢেউ সংবাদ :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল আহমেদের বিরুদ্ধে দায়েরী অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর বুধবার। সরেজমিন তদন্ত করেছেন সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আজিজুর রহমান। এসময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা, প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আহমেদ, শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ ও শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান শিক্ষক সামসুল আহমদের বিরুদ্ধে বর্তমান কমিটি ও অভিভাবকদেরকে না জানিয়ে প্রতিভূ লোকদের দিয়ে একতরফাভাবে বেআইনী গোপনীয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির রেজ্যুলেশন খাতার ২টি পাতা ছিড়ে ফেলা, অভিভাবকদের মধ্যে কোন্দল গ্রুপিং সৃষ্টি ও বিদ্যালয়ের ভূমিদাতাদের দানপত্র দলিল দস্তাবেজসহ পুরনো ফাইলপত্র অফিস দপ্তরীকে দিয়ে খালের পানিতে ফেলে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগটি দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেন রেজা। এর আগে গ্রামের সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকরাও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগটির তদন্ত হয়নি। পূর্বের অভিযোগে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বরাদ্দ আত্মসাৎ, সরকারী বই বিক্রি, প্রকাশনীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন, তদবীর বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উত্থাপন করা হয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক সামসুল আহমেদের স্বৈরাচারী কর্মকান্ড বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ করছে। এসব কারণে গত ১৫ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও প্রায় ১৩৫ জন সচেতন অভিভাবক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগে উক্ত প্রধান শিক্ষক সামসুল আহমেদকে অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা শিক্ষক শিক্ষিকাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেজ্যুলেশন খাতার ২টি পাতা প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছিড়ে ফেলার অভিযোগের সত্যতা পান। এছাড়া বিদ্যালয়ের পেছনে খালের পাড়ে পড়ে থাকা পুরনো বইপত্র ও মূল্যবান কাগজপত্র সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিদ্যালয়ের দপ্তরী আল-আমিন জানায়, আমি হেড স্যারের নির্দেশেই পুরনো বই ও কাগজপত্র খালে ফেলে দিয়েছি।