রুহুল আলম রনি ঃ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির কারণে জুড়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) এর আবাসিক প্রকৌশলী (আর.ই.) কবীর আহমদকে চট্টগ্রামে বদলী করার ২১ মাস অতিক্রান্ত হলেও তিনি জুড়ীতেই বহাল তবিয়তে অনিয়ম-দুর্ণীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। ১১ নভেম্বর বিকেলে জুড়ী উপজেলার দক্ষিন সাগরনাল গ্রামের মৃত আঃ গনির পুত্র আঃ রাজ্জাক মৌলভীবাজার শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্ণীতির তথ্য মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান- ২০১৭ সালে মাসুক আহমদের কাছ থেকে তিনি ফুলতলা বাজারের ১৯.২৫ শতক ভূমিসহ একটি সমিল ক্রয় করে যথারীতি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছিলেন। নভেম্বর ২০২২ সালে তিনি পূর্বের গ্রাহকের নামীয় মিটার (নং- ৫৯৪১৪৯২৬) নিজ নামে পরিবর্তনের জন্য তৎকালীন আবাসিক প্রকৌশলী আনছার আলী তার কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু, কাজ না করে নানা টাল বাহানা করতে থাকার একপর্যায়ে বদলী হয়ে মৌলভীবাজার চলে যান। তার স্থলে যোগ দেন কবীর আহমদ। আঃ রাজ্জাক তার সাথে যোগাযোগ করে পূর্বের ৩৬ হাজার টাকা প্রদানের প্রমানসহ মিটারের নাম পরিবর্তনের দাবী জানালে, কবীর আহমদ আরো ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন। আঃ রাজ্জাক ১৫ হাজার টাকা দেন এবং কাজ শেষ হবার পর বাকী ১৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, কবীর আহমদও কোন কাজ না করে সমিলে প্রিপেইড মিটার (নং- ০১০২৩০০৪৯৮৮২) প্রদান করে বাকী ১৫ হাজার টাকা দেয়ার দাবী জানান। কিন্তু, নাম পরিবর্তন না করায় আঃ রাজ্জাক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর কবীর আহমদ তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে এপ্রিল ২০২৪ সালের ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৪ টাকার বকেয়া বিলের কপি প্রদান করেন। অথচ তার কোন বকেয়া ছিলোনা। এ ব্যাপারে কবীর আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দেড় লাখ টাকা দাবী করেন। তাতে রাজী না হওয়ায় আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সিলেট বিদ্যুৎ আদালতে মামলা (নং- ৫৪১/২৪) দায়ের করেন। আঃ রাজ্জাক আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর থেকে কবীর আহমদ প্রতিমাসে মিটার লক করে রাখেন এবং ২২০০ টাকা আদায় করে লক খুলে দেন। কিন্তু, মিটারের নাম পরিবর্তনের করেননি। অপরদিকে, আঃ রাজ্জাককে মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে। এদিকে কবীর আহমদ স্থানীয় কিছু দুর্ণীতিবাজ ব্যক্তিকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করে অবাধে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। মিথ্যে মামলার ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করেনা। জুড়ী বিউবো’র আর.ই. কবীর আহমদের অনিয়ম-দুর্ণীতির কারণে দায়েরী ৬৭/২০১১-২০১২নং ও ৫৭/২০২৩-২০২৪নং বিভাগীয় মামলায় অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে চট্রগ্রামে বদলী করা হয়। কিন্তু, ২১ মাস অতিক্রান্ত হলেও তিনি এখনও বহাল তবিয়তে জুড়ীতেই অবস্থান করে অবাধে অনিয়ম-দুর্ণীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। আঃ রাজ্জাক তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কবীর আহমদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

