সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাহেল ইসলাম (সোহান)। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ অক্টোবর বুধবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থ রাস্তার পাশে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ছাত্র সোহানের বাবা শামছুল ইসলাম মৌলভীবাজার মডেল থানায় শহরতলীর ঘড়ুয়া গ্রামের তামিম ও শহরের কাশীনাথ রোডের শাহিন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১২/১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (এফআইআর নং- ২০, জিআর নং- ৩১০, তারিখ ১৩/১০/২০২৪) দায়ের করেছেন। পলাতক অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে- এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহান মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে টেস্ট পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থ রাস্তার পাশে পৌছলে তামিম, শাহিন ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ১২/১৩ জন তার উপর হামলা চালায়। তামিম ও শাহিন তার মুখে ঘুষি মারে এবং ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে এলোপাতারী আঘাত করে। এতে তার মুখের উপরপাটির ১টি দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং আরও কয়েকটি দাঁত নড়ে যায়। তার ঠোট কেটে গিয়ে রক্তপাত হতে থাকে। গুরুতর জখম হয় তার পা, হাত, গলা ও কান। এমতাবস্থায়ও অন্যান্যরা তাকে বেদম কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকলে, সে আর্তচিৎকার করতে করতে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে তামিম, শাহিন ও তাদের সহযোগীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আর্তচিৎকারে ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া লোকজন সোহানকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। উক্ত লোকজন সূত্রে খবর পেয়ে সোহানের বাবা-মা হাসপাতালে ছুটে আসেন। জরুরী চিকিৎসায় জ্ঞান ফিরে আসলে সোহান তার বাবা-মাকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। পরবর্তীতে সোহানের বাবা শামছুল ইসলাম মৌলভীবাজার মডেল থানায় তামিম, শাহিন ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ১২/১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার বিষয়ে আলাপকালে সোহানের বাবা শামছুল ইসলাম জানান- ঘটনাস্থলের পাশে থাকা কোচিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদেরকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। থানায় দায়েরী অভিযোগেও আমি উক্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজের বিষয়টি উল্লেখ করেছি। আমি আমার একমাত্র ছেলে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহানের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।