১ বছর ৩ মাসেও ডিএফও’র নির্দেশ পালণ করেননি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসার

১ বছর ৩ মাসেও ডিএফও’র নির্দেশ পালণ করেননি সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসার

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: ১ বছর ৩ মাসেও সিলেটের ডিএফও’র সামাজিক বনায়ন সংক্রান্ত নির্দেশ পালণ করেননি মৌলভীবাজারের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসার। ফলে, বনবাগান ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সরকার ও উপকারভোগীরা।
জানা গেছে- লাউয়াছড়া হতে মাগুড়ছড়া পর্যন্ত রেলপথের উভয়পাশের্^ ২ কিলোমিটার এবং ধলাই ব্রিজ হতে ফুলবাড়ী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ ষ্ট্রিপ প্ল্যান্টেশনের গাছসমূহ কর্তনের অনুরোধ জানিয়ে গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ সালে সিলেটের ডিএফও বরাবর আবেদন করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে সিলেটের ডিএফও মো. তৌফিকুল ইসলাম ১৪ জুন ২০২৩ সালের ২২.০১.০০০০.৬৭২.১৭.০০১.২৩.২৭৫৮নং স্মারকে লাউয়াছড়া হতে মাগুড়ছড়া ২ কিলোমিটার সরজমিন তদন্তক্রমে সামাজিক বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসারকে নির্দেশ দেন। এরপর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে ১ বছর ৩ মাস। কিন্তু, মৌলভীবাজারের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ অফিসার এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। অথচ একই সময়ের মাগুড়ছড়া-ভানুগাছ রেল সড়কের ৫ কিলোমিটার বাগানটি নিলাম হয়ে গেছে। অদৃশ্য কারণে উল্লিখিত বনবাগান নিলামে না তোলায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বনবাগান, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সরকার ও উপকারভোগীরা।
উপকার ভোগী সমিতির সভাপতি মো.আব্দুল হামিদ জানান- সামাজিক বনায়নের আওতায় ১৯৯২-১৯৯৩ সালে আকাশমনি ও চিকরাশী ষ্ট্রিপ প্ল্যান্টেশনে গাছ রোপন করা হয়। মৌলভীবাজার রেঞ্জের আওতাধীন লাউয়াছড়া হতে মাগুড়ছড়া রেলপথের উভয়পাশের্^ ২ কিলোমিটার এবং ধলাই ব্রিজ হইতে ফুলবাড়ী পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১ কিলোমিটার অংশের গাছ কাটা হয়েছে এবং বাকী অংশের গাছগুলো রয়ে গেছে। মাগুড়ছড়া হতে লাউয়াছড়া ও কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের ধলাইর ব্রিজ থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত স্থানের সামাজিক বনায়নের ষ্ট্রিপ বাগানের মেয়াদ পূর্ণ হলেও নিলাম না দেয়ায়, রাতের আঁধারে এক শ্রেণীর গাছচোর চক্র সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় ঝড়ের তান্ডবে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে মানুষের প্রাণহানী ঘটছে। রেলপথের উপরে গাছ উপড়ে পড়ে ও ভেঙ্গে পড়ে রেল যোগাযোগে বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া, ডাকাতরা রাতের আধারে রাস্তার পাশে থাকা গাছ রাস্তার উপর ফেলে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে ডাকাতি করছে। ফলে, লোকজন সর্বশান্ত হচ্ছে, দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি ও ঝড়ে নষ্ট হবার কারনে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি উপকারভোগীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অথচ এ ব্যাপারে বন বিভাগের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বনবাগান, আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সরকার ও উপকারভোগীরা।
কমলগঞ্জ ভানুগাছ চৌমুহনী সিএনজি সমিতির সভাপতি বেলাল আহমেদ বলেন- আমাদের গাড়ি চালকরা কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে প্রায়সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ও রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতিও হচ্ছে। তিনি রাস্তার দু’পাশের গাছগুলো দ্রুত সময়ে অপসারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে সিলেটের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম জানান- আমাদের অফিস বন্ধ থাকায় আবেদনের কাগজপত্রগুলো দেখা যাচ্ছেনা। উপকারভোগী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ যেন শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *