মৌলভীবাজারে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত

মৌলভীবাজারে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত

ষ্টাফ রিপোর্টার :: ১৭ জুন সোমবার যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে মুসলামনদের দুটি বৃহৎ ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পবিত্র ঈদুল আজহা। জেলা শহরে বরাবরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পৌর ইদগাহে। বরাবরের ন্যায় এখানে পৃথক ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৬টায়, ২য় জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ও ৩য় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। বিরামহীন টিপ টিপ বৃষ্টিতে ভিজে ৩টি জামাতে অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লি পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। ৩য় জামাত চলাবস্থায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে মুসল্লীরা ভিজে জবুথবু নামাজ সম্পন্ন করেন।
প্রথম জামাতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান। এসময় তিনি পৌর ইদগাহের বিগত দিনের আয়-ব্যায় হিসাব উপস্থাপন করেন এবং ঈদগাহের ব্যাংক হিসাবে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে জানান। তিনি দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার- ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) আব্দুস সালাম চৌধুরী।
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন পশ্চিমবাজার জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মুহিবুর রহমান, সানী ইমামের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (রঃ) দরগাহ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ শামিম আহমদ।
২য় জামাতে ইমামতি করেন সুলতানপুর জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মুফতি শামছুজ্জোহা, সানী ইমামের দায়িত্ব পালন করেন শান্তিবাগ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুজাম্মেল হক মাহিরী এবং ৩য় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মনোয়ার জামে মসজিদের খতিব হাফিজ মাওলানা সৈয়দ মাজদুদ আহমদ রাফিদ। সানী ইমামের দায়িত্ব পালন করেন জেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম হাসান আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও শহরের অধিকাংশ মসজিদেও পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামাত শেষে জামাতের ইমাম দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যান কামনায় দোয়া করেছেন। এসময় মুসল্লিদের চোখের পানিতে ও আ-মি-ন আ-মি-ন ধ্বনীতে মুখরিত হয় পৌর ঈদগাহ। এছাড়া জেলার উপজেলাসমূহের শতাধিক স্থানে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামাত শেষে মুসল্লীগণ পরস্পর কোলাকুলি ও সৌহার্দ্য বিনিময় শেষে মৃতঃ স্বজনদের কবর জিয়ারত ও তাদের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন। এরপর সামর্থবানরা পশু কোরবানি করেন এবং আত্নীয়-স্বজন-প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *