সুরমার ঢেউ সংবাদ :: মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমি সংক্রান্ত হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার মোহাজেরাবাদ এলাকার মৃতঃ রমনী চয়ন গোয়ালার পুত্র শ্যামল গোয়ালা।
১৩ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্যামল গোয়ালা জানান, ‘আমি সংখ্যালঘু পরিবারের লোক। শতশত বছর ধরে বংশ পরস্পরায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। আমাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক জমিজমা রেখে গেলে আমরা মৌরসি সূত্রে এসব জমি ভোগ দখল করে আসছি। বিগত আর,এস, জরিপকালে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের (বিটিআরআই) সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন রামনগর মৌজায় আমাদের দখলীয় ভূমির দলিল জাল করে তাদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন।
পরবর্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই রেকর্ড সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে-২৩০/২০১৫ইং নং একটি মামলা দায়ের করি। শুনানির পর বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ৬ জুলাই ২০২৩ইং আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। সার্ভে আদালতের আদেশে শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক নামজারী করে ৩১৬৫নং নামজারী ও খতিয়ান প্রদান করেন। এরপর যথারীতি জমির খাজনা প্রদান করি’। সম্প্রতি ওই ভূমিতে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করলে ইসমাইল হোসেন নির্মাণ কজে বাধা প্রদান করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর ইসমাইল হোসেন ও তার লোকজন লাঠিসোঠা নিয়া এসে গৃহনির্মাণ কাজে বাঁধা ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের আদেশ মোতাবেক নালিশা ভূমি নামজারী করে নামজারী খতিয়ান প্রাপ্ত হয়ে খাজনা পরিশোধ করার পরও গৃহনির্মাণ করতে বাধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। ইসমাইল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আমরা নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ায় তিনি নালিশা ভূমি হতে আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। ইসমাইল হোসেন মৌলভীবাজার সদর কোর্টে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বত্ব মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছেন। শ্যামল গোয়ালা তার ও তার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।