শ. ই. সরকার জবলু :: বৃহত্তর সিলেটের পত্রিকা জগতে দৈনিক প্রভাত বেলা’র ব্যতিক্রমী ও অনন্য সংযোজন ‘প্রীতি সম্মিলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৫ নভেম্বর শনিবার দিনব্যাপী। সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল’র সভাপতিত্বে এবং সহকারী সম্পাদক মুহিব আলী ও বার্তা সম্পাদক চৌধুরী আমীরুল হোসেনের সঞ্চালনায় সিলেট প্রেসক্লাবের আমিনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
প্রীতি সম্মিলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রেজাউল হক ডালিম, স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন সম্মিলনের সভাপতি ও প্রভাত বেলা’র সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল। সম্মিলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেণু। বক্তব্য রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবুল হাশেম চৌধুরী, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন ও দৈনিক জালালাবাদের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- সাংবাদিকরা পেছনে থাকলে কাজ সহজ হয়।
সাংবাদিকরা জনপ্রতিনিধিদের ভুল ধরে তাদের সংশোধনের সুযোগ তৈরি করে দেন। মানুষ হিসেবে আমারও অনেক ভুল হতে পারে। এরকম হলে আমাকে মনে করিয়ে দেবেন। এরপরও আমি সংশোধন না করলে সংবাদ পরিবেশন/প্রকাশ করবেন। সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ট সংবাদ সমাজের জন্য সহায়ক। তাই, বন্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার চর্চা করতে হবে। তিনি আরও বলেন- সিলেটবাসী লজ্জিত হন এমন কোনো কাজ আমি করবো না। সবার সহযোগিতা নিয়ে ক্লিন সিলেট গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে পত্রিকা চালানো খুব কঠিন কাজ উল্লেখ করে তিনি প্রভাত বেলা সম্পাদককে ধন্যবাদ জানান। মেয়র নির্বাচিত হবার পর সিলেট প্রেসক্লাবে তাকে প্রথম আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় সম্মিলন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব নোমান বিন আরমান, সদস্য মুনশী ইকবাল, কামরুল আলম, ফয়সল আহমদ বাবুল, মুক্তাদির হোসেন মুক্ত উপস্থিত ছিলেন।
ডেলিগেটদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শ. ই. সরকার জবলু, পলিনা রহমান, জালাল আহমদ, নাজমুল কবির পাবেল, আহমদ মারুফ, শফিক আহমদ শফি, শহিদ হাতিমী, ফখরুল ইসলাম, তাসলিমা খানম বীথি, খালেদুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মুহিবুর রহমান মিছলু, ফয়জুল হক শিমুল, গোপাল সূত্রধর, মিজানুর রহমান মিজান, কাওছার আহমদ, জাকারিয়া তালুকদার, আলাউদ্দিন আহমদ সুমন, দূর্গেশ চন্দ্র সরকার, হেলাল আহমদ, আশিকুর রহমান, কামাল হোসেন মিঠু, নওরোজ আরেফিন, আইনুল হক, মাহফুজ হাসান, তানিন সরকার, ইনামুল আসিফ লতিফি, মাশরুর রাসেল, মুকিত তুহিন, আহমেদ শাফায়েত অপু, মাসুদ আহমদ, জুনেদ আহমদ রুনু, জাকারিয়া মজুমদার, জমশেদ উদ্দিন, গোলাম মর্তুজা সেলিম, হাবিবুর রহমান চয়ন, মো. কালাম হোসেন, ফারুক আহমদ, মাহমুদুর রহমান, আবদুল আওয়াল চৌধুরী শিপার, শাহীদুল মুরছালিন প্রমুখ।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতি ও আপ্যায়ন শেষে ডেলিগেটদের হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয় এবং র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে প্রীতি সম্মিলনের সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে প্রভাত বেলা সম্পাদক তার দীর্ঘ সাংবাদিকতার চরাই-উৎরাই এবং প্রভাত বেলা ও সাপ্তাহিক সিলেট পরিক্রমার ইতিহাস তুলে ধরে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি প্রভাত বেলা নিয়ে প্রভাতবেলা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মকান্ডের রূপরেখা তুলে ধরেন।
এদিকে, প্রভাত বেলা’র প্রীতি সম্মিলনকে একটি ব্যতিক্রমী ও অনন্য উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রীতি সম্মিলনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টজন ও সূধীজনরা। সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু বলেছেন- প্রভাত বেলা’র প্রীতি সম্মিলন বৃহত্তর সিলেটের সংবাদপত্র জগতে একটি ব্যতিক্রমী ও অনন্য উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অতীতের সব ব্যর্থতা মুছে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে এবং সংবাদপত্র জগতে নবযাত্রার সূচনা করবে প্রভাত বেলা।
সংবাদটি শেয়ার করতে “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”
