মৌলভীবাজারে দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গোপলা নদীর বালু উত্তোলনের অভিযোগটি সঠিক নয়

মৌলভীবাজারে দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গোপলা নদীর বালু উত্তোলনের অভিযোগটি সঠিক নয়

শ. ই. সরকার জবলু :: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউপি’র দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাতগাঁও-নারাইনপাশায় গোপলা নদীর বালু উত্তোলনের অভিযোগটি সঠিক নয়। অভিযুক্ত স্থানটি রাউতগাঁও এবং এটি সরকারী একটি বালুমহাল। রাউতগাঁও বালুমহাল নামীয় এ বালুমহালটি নাজিরাবাদ ইউনিয়নস্থিত দক্ষিণ চমৎকার গ্রামের ছুফি মিয়ার পুত্র জুয়েল আহমদ ১৪৩০ বাংলা সন পর্যন্ত ইজারাপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার ১০/০৫/২০২৩ইং তারিখের ০৫.৪৬.৫৮০০.০০৯.৩৫.০০৭.১৫-৬২৮নং স্মারকযুক্ত আদেশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর ২৫/০৫/২৩ইং তারিখের ৬০১ সংখ্যক স্মারকের নির্দেশ মোতাবেক গিয়াসনগর ইউনিয়ন ভূমিসহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ২৫/০৫/২৩ইং তারিখেই নাজিরাবাদ ইউপি’র মোহিত মেম্বার ও মহসিন মেম্বারের উপস্থিতিতে জুয়েল আহমদকে উক্ত বালুমহালের দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। মোহিত মেম্বার ও মহসিন মেম্বার ইজারা গ্রহীতা জুয়েল আহমদকে সহায়তা করছেন মাত্র।
তবে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছুসংখ্যক লোকজন কর্তৃক বালু উত্তোলনে আপত্তির প্রেক্ষিতে নাজিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান, আপার কাগাবলা ইউপি চেয়ারম্যান ও মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় স্থানীয় শমসেরগঞ্জ বাজারে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে ইজারা সংক্রান্ত কাগজাত উপস্থাপিত হলে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানীত হয়। এর প্রেক্ষিতে সালিশ বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়, যেহেতু সরকার একবছরের জন্য ইজারা দিয়েছে এবং জুয়েল আহমদ ইজারাপ্রাপ্ত হয়েছে, সেহেতু এবছর বালু উত্তোলন করা হোক। আগামীবছর থেকে এ বালুমহাল যাতে আর ইজারা দেয়া নাহয় সেজন্য উক্ত তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করবেন। এছাড়াও, উক্ত তিন ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশিত মতে নির্দেশিত স্থান থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা গ্রহীতাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। আপার কাগাবলা ইউপি চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাজেই, রকিব মিয়া কর্তৃক পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নাজিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানকে অনুলিপিসহ জেলা প্রশাসক বরাবর নাজিরাবাদ ইউপি’র মোহিত মেম্বার ও মহসিন মেম্বারের বিরুদ্ধে গোপলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগটি (ডকেট নং- ৬৪৯০, তাং- ০৭/১০/২০২৩ইং) কোনভাবেই সঠিক নয়। রকিব মিয়া অভিযোগটি করেছেন বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়ে, না জেনেই। একইভাবে, স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়ে, না জেনেই।
জানা গেছে- গত ৪ বছর যাবৎ একে একে ৪ ব্যক্তি রাউতগাঁও বালুমহালটি ইজারাপ্রাপ্ত হয়ে প্রায় একই স্থান থেকেই বালু উত্তোলন করলেও কেউ কোন অভিযোগ বা বালু উত্তোলনে আপত্তি করেনি। কিন্তু, এবছর ইজারাপ্রাপ্ত হওয়া সত্তেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ দায়ের এবং বালু উত্তোলনে আপত্তি করার বিষয়টি রহস্যজনক বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *