শিশু জোনায়েদ পড়াশোনার ভয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিল পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই

শিশু জোনায়েদ পড়াশোনার ভয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিল পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই

সুরমার ঢেউ সংবাদ :: শিশু জোনায়েদ পড়াশোনার ভয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিল পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই। তাই, ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে পড়েছিলো জোনায়েদ মোল্লা নামের ওই শিশু। এসময় কেবিন ক্রু তাকে সিটে বসতেও দেয়। একপর্যায়ে শিশুটি যে সিটে বসেছিল এর পাশের সিটের যাত্রী শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে বসতে বলে। কিন্তু, সে তার বাবা-মায়ের বিষয়ে কোনোকিছু বলতে পারেনি। পরে তার কাছে পাসপোর্ট-ভিসা পাওয়া না গেলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়। পরে ওইদিন রাতে শিশুটিকে তার চাচা ইউসুফ মোল্লার কাছে হস্তান্তর করা হয়। জোনায়েদের স্বজনদের সূত্রে এমনই তথ্য পাওয়া যায়।
জোনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা জানান- ১০ বছরের শিশু জোনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কৃষক ইমরান মোল্লার ছেলে। সে স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। তারা ২ ভাই ও ১ বোন। পড়াশোনার জন্য চাপ দিলে এবং মাদরাসায় যাবার কথা বললেই সে বাসা থেকে পালিয়ে যেতো। এরই ধারাবাহিকতায় একসপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বিমানবন্দর থানা পুলিশের মাধ্যমে তাকে খুঁজে পেলাম।
এদিকে, পাসপোর্ট, ভিসা, বোর্ডিং পাস ছাড়া একজন শিশু বিমানে উঠে যাবার ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বিমানবন্দরে কর্মরত প্রত্যেক কর্মী ডিউটি পাস ব্যবহার করে চলাফেরা করের। যাত্রীরা পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস দিয়ে চলাফেরা করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ঢুকে ইমিগ্রেশনসহ ৮ থেকে ১০টি ধাপ পেরিয়ে বিমানে চড়তে হয়। কিন্তু, শিশুটি কিভাবে এসব বাধা পেরিয়ে বিমানে উঠতে পারলো এ প্রশ্ন সবার।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন- নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে পাসপোর্ট-ভিসা-টিকিট ছাড়াই এক শিশুর বিমানে উঠে যাবার ঘটনায় দায়িত্বরত ১০ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *