সুরমার ঢেউ সংবাদ :: হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্রী ধর্ষণ ও ছাত্র হেনস্তার অভিযোগে নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্তে ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দা রকিবুন্নাহারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
১৪ জুলাই শুক্রবার বৃন্দাবন কলেজের অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়- ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তাকর্মী রোমান মিয়া (৩২) গত ১০ জুলাই কলেজ চলাকালীন সময়ে জনৈক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কলেজের অধ্যক্ষকে অবগত করলে অধ্যক্ষ রোমান মিয়াকে তার কক্ষে তলব করেন। অধ্যক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে রুমান মিয়া ধর্ষণের কথা অস্বীকার ও ধর্ষণের অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করে জানান, ‘একটি কক্ষে এক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখে ওই ছাত্রী ও ছাত্রকে তিনি মারধোর করেছেন। মেয়েটিকে ধর্ষণ বা কোনো রকমের যৌন হেনস্তা করেননি’। সরকারী বৃন্দাবন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, ‘ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হলেও কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এবং নিরাপত্তাকর্মী রোমান মিয়ার বক্তব্যে পার্থক্য রয়েছে। রোমান মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেওয়ান জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’